আবু সায়েম,কক্সবাজার
সুফল প্রকল্পের মাধ্যমে সুফল পাচ্ছে ও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন প্রত্যন্ত অঞ্চলের বনের উপর নির্ভরশীল থাকা নারী-পুরুষরা। টেকসই বন ও জীবিকা সুফল প্রকল্পের মাধ্যমে বনের উপর নির্ভর না হয়ে আত্মনির্ভরশীল হচ্ছে হাজার হাজার নারী পুরুষ। ফলে বন ধ্বংসকারীদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে বন ও জীববৈচিত্র্য। শনিবার(১১ নভেম্বর) সকালে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন ঈদগাঁও রেঞ্জের ভোমরিয়াঘোনা বিটের ২০২২-২০২৩ আর্থিক সনে সুফল প্রকল্পের আওতায় সৃজিত ১০ হেক্টর এনরিচমেন্ট বাগান পরিদর্শন করেন বিশ্ব ব্যাংকের পরিদর্শন দল।ঈদগাঁও রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন খাঁন বলেন, আমরা সমন্বিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করে সুফল প্রকল্পের মাধ্যমে ধ্বংসের হাত থেকে বনরক্ষা করি। সুফল প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের বনের উপর নির্ভরতা হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বনরক্ষায় সর্বোচ্চটা দিয়ে আমরা সবসময় সজাগ থাকি। আমাদের পেট্রোলিং টিম রয়েছে। যারা বনের পাহারা দিয়ে থাকে।”বনের উপর নির্ভরশীল মানুষদের কর্মসংস্থান হওয়া সুফল প্রকল্পের ইতিবাচক প্রভাব। পরিদর্শনকালে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার,সহকারী বন সংরক্ষক( মেহেরঘোনা) ডঃ প্রান্তোষ চন্দ্র রায়,সহকারী বন সংরক্ষক ( ফুলছড়ি) শীতল পাল,ঈদগাঁও রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন খাঁনসহ বিট কর্মকর্তা ও অন্যান্য স্টাফবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বনায়ন পরিদর্শনের পর বিশ্ব ব্যাংকের টিম এবং বন বিভাগের কর্মকর্তাগণ বনায়নের সর্বাধিক সাফল্যে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং বিভিন্ন ধরনের দিক নির্দেশনা প্রদান করেন এবং সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ও বিটে কর্মরত সকলকে ধন্যবাদ জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি