মহাসড়কে অবৈধ থ্রি-হুইলারের দৈরাত্ন,ঘটছে একের পর এক দূর্ঘটনা 

0
624
মহাসড়কে অবৈধ থ্রি-হুইলারের দৈরাত্ন
মহাসড়কে অবৈধ থ্রি-হুইলারের দৈরাত্ন

প্রতিনিধি,কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ):

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে অবৈধ্য থ্রি-হুইলারের দৈরাত্ন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সড়ক দূর্ঘটনা। অকালেই প্রাণ হারাচ্ছে অনেকেই। আবার অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে। সড়ক দূর্ঘটনা এড়াতে ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত মালামাল বহন,গাড়ী চালারোর সময়ে চালকের মোবাইল ফোনে কথা না বলা,চালকের পাশে লোক না বসানো,অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি না চালানো,থ্রি-হুলার মহাসড়কে (না ওঠা ) না চালানোর জন্য সরকার আইন করেছে। মহামান্য হাইকোর্ট নিশেধাজ্ঞা জারি করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার তাগিদ দিলেও একাধিক বার পদক্ষেপ নিলেও অদৃশ্য কারনে বন্ধ হচ্ছে না ধারন ক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত মালামাল বহন,গাড়ী চালানোর সময়ে চালকের মোবাইল ফোনে কথা বলা,চালকের পাশে লোক বসানো,অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো এবং মরন ঘাতক থ্রি-হুলার। ঢাকা খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সীমানায় অবাধে আইন অমান্য করে চলছে সকলেই। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গোপালগঞ্জ জেলার প্রায় ৬০ কিলো মিটার রাস্তার সর্ব্বোত্রই একই চিত্র। বিশেষ করে থ্রি-হুলার নছিমন, করিমন,অটো বাইক,ইজ বাইকের দৈরাত্ন্য দিন বেড়েই চলছে। ফলে গোপালগঞ্জ জেলা এলাকায় শতাধিক সড়ক দূর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এসব দূঘর্টনায় শ্রমিক,আইনজীবি, পুলিশ,ডাক্তারসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ লোককে প্রাণ হারতে হয়েছে। অকালে ঝরে গেছে শতাধিক মানুষের প্রাণ।
সরকার এতো আইনকানুন, নিয়ম করার পরেও কেন এসব নিশিদ্ধ যানবাহন মহাসড়কে অবাধে চলাচল করে ? আইন প্রয়োগকারি সংস্থাগুলির সামনে প্রকাশ্য কি ভাবেই বা ত্রি-হুলারগুলি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এলাকাবাসীর বোধগম্য হয় না। এনার্জী পার্কের (তেল পাম্পের) মালিক আলহাজ মুন্শী ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আমরা যারা প্রাইভেট গাড়ীতে যাতায়াত করি থ্রি-হুইলারের আতংকে থাকি। কখন গাড়ীর সাথে ত্রি-হুলারগুলি লাগিয়ে দেয়। ত্রি-হুইলার গুলি নিজেরা অবৈধ্য ভাবে আইন অমান্য করে মহাসড়কে চলাচল করে এবং বৈধ্য যানবাহনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়। বাস চালক মোঃ শওকত আলী জানায়, ত্রি-হুইলারগুলি খুব সমস্যা করে। তারা সুযোগ পেলেই রাস্তার মধ্যে দিয়ে চলাচল করে। অন্যদিকে রয়েছে মহাসড়কে দুরপাল্লার পরিবহন বাসগুলি বেপরোয়া গতি। এসব কারনেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দূঘর্টনার সংখ্যা, আর এ সব দূঘর্টনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে যায়। এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ জেলার সহকারি পরিচালক (ইঞ্জিন) মোঃ আবুল বশার বলেন, মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচলা সম্পূর্ণ নিশিদ্ধ । এদের কোন রেজিষ্ট্রেশন নাই। তার পরও কেন তারা কিভাবে মহাসড়কে চলাচল করে । পুলিশ তাদের কেন মহাসড়কে উঠতে এবং চলাচল করতে দেয় আমার জানা নাই। তিনি আরো বলেন,থ্রি-হুইলার গাড়ীর কোনা রেজিস্ট্রেশন নাই। এসব গাড়ী সম্পূর্ন ভাবে নিশিদ্ধ। আজ পর্যন্ত কেউ আমার অফিসে ত্রি-হুইলার রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করতে আসেনি। এসব গাড়ী অনুমোদিত হলে আমরা মহাসড়কে উঠতে পারবে না একথা কাগজপত্রে লিখে দিতাম।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৬ নভেম্বর ২৩/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here