নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজার শহরের বদরমোকাম কস্তুরাঘাট এলাকায় নিরীহ পরিবারের উপর দফায় দফায় হামলা, নারীদের মারধর, বাড়ি ভাংচুর ও মালামাল লুটের ঘটনা ঘটেছে। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে উল্টো আক্রান্তদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা দিয়ে গভীর রাতে আটকের পর পুরো ঘর দখল নিয়েছে পেশকার পাড়ার আব্বাস নামের এক ব্যক্তি। জানাগেছে, কক্সবাজার পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কস্তুরাঘাট এলাকার সিরাজমিয়া নামের এক ব্যক্তি তার কেনা জমি (রেজিষ্ট্রি জমি) উপর কাঁচা ঘর নির্মাণ করে তার মেয়ে ডালিয়া আকতার পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছে গত ৪ বছর ধরে। কিন্তু জায়গাটির উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে শহরের পেশকারপাড়া এলাকার আব্বাস নামের এক ব্যক্তির। এই আব্বাসের নেতৃত্বে ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল নিয়ে দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। গত ১৩ নভেম্বর দিন দুপুরে জমিটি দখলের চেষ্টা ও ভাংচুর এবং মহিলাদের মারধর করে। এঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের করেন। কিন্তু থানায় মামলাটি গ্রহণ করেনি বলে আক্রান্তদেরও অভিযোগ। এদিকে, সুচতুর আব্বাস টাকার জোরে গত ১৫ নভেম্বর উল্টো নির্যাতিত নারী ও পুরুষের বিরুদ্ধে কক্সবাজার থানায় মামলা রেকর্ড করান। কক্সবাজার থানার মামলা নং-৩০,জিআর-৩৩৪/২০২৩। এই মামলায় আসামী করা হয় হামলায় আহত জাগির হোসেন, ডালিয়া আকতার,হামিদা আকতার, তানজিমা আকতারসহ ৭ জনকে। এদিকে, গত ১৫ নভেম্বর রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানার একদল পুলিশ কস্তুরাঘাটস্থ ওই আসামীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মিথ্যা মামলার আসামী কে গ্রেফতার করে। এরপর আব্বাসের নেতৃত্বে কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম মুকুলের ছোট ভাই বাবুর তত্বাবধানে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ২ টার দিকে ওই বসতবাড়িতে হামলা চালায়। সেখানে ব্যাপক ভাংচুর, নারী ও পুরুষদের মারধর এবং বাড়ির সব মালামাল লুট করে বসতবাড়িটি আব্বাসগং দখলে নেয়, সেখানে টিনের একটি ঘর নির্মাণ করে কয়েকজন ভাড়াটিয়া মহিলা ডুকিয়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা জানান, পুলিশ অভিযান চালানোর পরপরই সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সেখানে হামলা করে। এঘটনার বিষয়ে জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন দেয়া হলে ঘটনাস্থলে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ দুই দফা অভিযান চালায়। এসময় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এদিকে, হামলায় আহত ও মিথ্যা মামলার শিকার হওয়া আসামীদের মধ্যে ৪ জন ১৬ নভেম্বর আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তারা জানান, বাড়ী ভাংচুর ও মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়ায় তারা এখন খোলা আকাশের নিচে জীবন কাটাচ্ছে। কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, হামলা, মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৭ নভেম্বর ২৩/মওম