বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল/যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও বিক্ষোভ মিছিল 

0
329

আলোকিত ডেস্ক:

বাসে এবং ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মধ্য দিয়ে রোববার শুরু হয়েছে বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের প্রথমদিন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার বিএনপি ৪৮ ঘণ্টার হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। গত ২৮শে অক্টোবর ঢাকায় রাজনৈতিক রাজনৈতিক সংঘাতের পর বিএনপি একদিন হরতালের ডাক দিয়েছিল। এরপর থেকে পাঁচ দফায় মোট ১০দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। গতকাল রোববার ভোর ছয়টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হরতাল শুরু হলেও আগের রাতেই জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা এক্সপ্রেস নামের একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে দুটি ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটলো। এদিকে গত  শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে গতকাল ভোর ৬টা পর্যন্ত ১১টি গাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। গতকাল  রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম। তিনি বলেন, ১০টি যানবাহনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা সিটিতে ৪টি, রাজশাহী বিভাগের নাটোর, বগুড়া, জয়পুরহাটে ৩টি, চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, কুমিল্লায় ২টি, ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুরে ১টি ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ৬টি বাস, ১টি কাভার্ডভ্যান, ১টি ট্রাক, ১টি পিকআপ ও ১টি ট্রেনের তিনটি বগি পুড়ে যায়। এছাড়া হরতাল শুরুর পর গতকাল সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর ফুলবাড়িয়ায় কাজী আলাউদ্দিন রোডে ওয়ানস্টার হোটেলের সামনে একটি সিএনজিতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আগুন লাগায় দুর্বৃত্তরা। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুনে যমুনা এক্সপ্রেসের তিনটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ঢাকা, কুমিল্লা এবং জয়পুরহাট জেলায় অন্তত পাঁচটি বাসে আগুন এবং একটি সিএনজি অটোরিক্সায় ককটেল হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের পাশে থাকা গাড়িটিতে আগুন দেওয়া হয় বলে নাটোর সদর থানার ওসি নাছিম আহমেদ জানান। স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, মুক্তি সোনা নামে যাত্রীবাহী বাসটি ভবানীগঞ্জ এলাকায় দাঁড় করিয়ে রাখা ছিল। ভোরে কয়েকটি মোটরসাইকেলে কয়েকজন এসে ওই বাসটিতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে পাবনা শহরের বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি ও ছাত্রদলের সাবেক নেতাকর্মীরা। এসময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে, রোববার সকালে ঢাকার রাস্তায় যান চলাচল তুলনামূলক কম দেখা গেছে। এ অবস্থায় গণপরিবহন সংকটে অফিসগামী মানুষদের অনেকেই দুর্ভোগে পড়েন। জামালপুরে ট্রেনে আগুন: ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছ, হরতালের আগে গত শনিবার রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা এক্সপ্রেস নামের একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে। এতে ট্রেনটির তিনটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ট্রেনে যাত্রী না থাকায় কেউ হতাহত হয়নি। কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রেনটি সরিষাবাড়ী রেলস্টেশনে ইঞ্জিন বন্ধ অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিল। এরপর গত  শনিবার রাত দেড়টার দিকে ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়। এতে ট্রেনের তিনটি বগি পুড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় রাত সাড়ে তিনটার দিকে আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়। এর আগে, বিএনপির পঞ্চম দফা অবরোধ চলাকালে গত বুধবার রাতে টাঙ্গাইল রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কমিউটার ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। সড়কে যান চলাচল কম, যাত্রীদের দুর্ভোগ: সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন সড়কে ঘুরে  দেখা গেছে  ঢাকার ধানমণ্ডি, কলাবাগান, গ্রিনরোড, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বিজয় সরণি, মিরপুর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া, মহাখালী, বনানী, গুলশানসহ বিভিন্ন সড়কে সীমিত সংখ্যক বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যান এবং ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে। যদিও প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিবহন থাকায় অফিস ও স্কুলগামী যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন। এছাড়া সিএনজি অটোরিক্সা ও রিক্সার সংখ্যা স্বাভাবিক দিনের মতই দেখা গেছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। অন্যদিকে, আগের হরতাল-অবরোধের মত রোববারেও বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার যান চলাচল। বাসে আগুন: ঢাকা, কুমিল্লা এবং জয়পুরহাট জেলায় অন্তত পাঁচটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলেও জানিয়েছে তারা। ফায়ার সার্ভিস জানায়, গত শনিবার রাত ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে ঢাকার ধানমণ্ডি ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে এবং মিরপুরের কালশীতে দু’টি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রায় একই সময়ে কুমিল্লা সদর উপজেলাতেও আরও একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। গতকাল গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা দূরপাল্লার একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর শহীদ বরকত সরণি এলাকার শিববাড়ী-জয়দেবপুর সড়কে বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়। দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে আয়ের একমাত্র অবলম্বন বাসটি পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে বাসের চালক ও মালিক দেলোয়ার হোসেন দেলু জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এছাড়াও নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের পাশে থাকা গাড়িটিতে আগুন দেওয়া হয় বলে নাটোর সদর থানার ওসি নাছিম আহমেদ জানান। স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, মুক্তি সোনা নামে যাত্রীবাহী বাসটি ভবানীগঞ্জ এলাকায় দাঁড় করিয়ে রাখা ছিল। ভোরে কয়েকটি মোটরসাইকেলে কয়েকজন এসে ওই বাসটিতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে পাবনা শহরের বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি ও ছাত্রদলের সাবেক নেতাকর্মীরা। এসময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এছাড়া গত শনিবার রাত নয়টার দিকে ঢাকার গুলিস্তান এবং জয়পুরহাট জেলায় দু’টি বাসে আগুন দেওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস। গাজীপুর: গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা দূরপাল্লার একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর শহীদ বরকত সরণি এলাকার শিববাড়ী-জয়দেবপুর সড়কে বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়। দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে আয়ের একমাত্র অবলম্বন বাসটি পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে বাসের চালক ও মালিক দেলোয়ার হোসেন দেলু জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে এলাকাবাসী তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। দেলুর চাচাতো ভাই সাগর হোসেন জানান, দেলুর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানা এলাকায়। বর্তমানে তারা শহীদ বরকত সরণি এলাকায় সপরিবারে বাসা ভাড়া করে থাকেন। সেখানে থেকে দেলু তুরাগ পরিবহন নামে তার গাড়িটি ঢাকা-শেরপুর  রুটে চালান। তিনিই গাড়ির মালিক তিনিই চালক। দীর্ঘদিন ধরেই ট্রিপ শেষে বাসটি বাসার কাছে সড়কের পাশে পুকুর পাড়ে রাখেন। প্রতিদিনের মতো শনিবার ভোররাতে একই স্থানে বাসটি রেখে বাড়ি যান। দুপুরে কে বা কারা বাসটিতে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়। মুহূর্তেই আগুন পুড়ো গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘণ্টা খানেক চেষ্টার পরে এলাকাবাসী পাশের পুকুরের পানি দিয়ে আগুন নেভায়। সুনামগঞ্জে ঘণ্টাব্যাপী পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ : সুনামগঞ্জে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ ও বিএনপির মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে পুলিশ বিপুল পরিমাণে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের সংখ্যা জানা যায়নি। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে হরতাল সমর্থনে বিএনপির নেতাকর্মীরা আরপিনগর এলাকা থেকে সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কে এসে পিকেটিং করার জন্য অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়লে পুলিশ বিপুল পরিমাণ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ শুরু হলে আরপিনগর ও জামতলা এলাকায় বিএনপি সমর্থকরা ছড়িয়ে পড়েন। দুই এলাকা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চালায় বিএনপি সমর্থকরা।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুলিশ শতাধিক রাউন্ড টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।  সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, কত রাউন্ড টিয়ারশেল গ্যাস ছোড়া হয়েছে পরে বলতে পারব। এখনও পুলিশ অভিযানে আছে। রাজধানীতে হরতাল সমর্থনে জামায়াতের বিক্ষোভ: টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতাল সমর্থনে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে পৃথক পৃথকভাবে এসব মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে উত্তরা ও ফার্মগেটে ঢাকা মহানগর উত্তরের মিছিলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ দলটির। এই হামলায় ২ জন আহত হয়েছেন এবং ৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে তারা। হরতাল সমর্থনে মিরপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের নেতাকর্মীরা। তাদের  মিছিলটি মিরপুর-২ নং বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মসজিদ মার্কেটের সামনে গিয়ে পথসভার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এতে ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাহফুজুর রহমান বলেন, সরকার সাজানো ও পাতানো নির্বাচনের নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্যই আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে একতরফাভাবে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছে। কিন্তু তাদের সে স্বপ্নবিলাস জনগণ কখনোই সফল ও সার্থক হতে দেবে না। তাই অবিলম্বে ফরমায়েশি তফসিল প্রত্যাহার, গণবিরোধী সরকারের পদত্যাগ এবং পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নতুন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় হঠকারীতার জন্য রাজপথে সরকারকে সমুচিত জবাব দেয়া হবে। রাজধানীতে হরতাল সমর্থনে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ: বিএনপি ঘোষিত হরতাল সমর্থনে রাজধানীর গ্রিন রোডে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। রোববার সকালে স্বেচ্ছাসেবক দলের  সিনিয়র সহ সভাপতি ইয়াছিন আলী ও সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, কামরুজ্জামান বিপ্লব, সহ সভাপতি সরদার মো. নুরুজ্জামান, ড. মফিদুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক কাজী মোক্তার হোসেন, জেড আই কামাল, আলাউদ্দিন জুয়েল, সহ সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলাম ,আসাদুজ্জামান আসাদ, আবু মাসুম ভুঁইয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম তপু, সফি মাহমুদ জুয়েল, সমাজসেবা সম্পাদক মামুন হাশেমী দীপু, সহ সমাজসেবা সম্পাদক পলাশ, সহ কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ইমদাদুল হক মজুমদার, সহ আপ্যায়ন সম্পাদক সাইদুজ্জামান পাশা, কেন্দ্রীয় সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মামুন, মোবারক মিতুল, তুহিন সরকার, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ দপ্তর সম্পাদক তানভীর কবির শৈবাল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নুরে আলম হবি, মাসুদ রানা তুষার, সাঈদ, কায়েস প্রমুখ। পাবনা: পাবনা শহরের বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি ও ছাত্রদলের সাবেক নেতাকর্মীরা। এসময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাবনা শহরের বড় বাজার সংলগ্ন দই বাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। মুজাহিদ ক্লাব এলাকা থেকে পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদন্নবী স্বপন ও পাবনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তসলিম হাসান খান সুইটের নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এ সময় বড় বাজার এলাকায় পৌঁছালে হরতাল সমর্থনে পিকেটিং করেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনা হয়।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৯ নভেম্বর ২৩/ এসবি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here