চোট জর্জর ব্রাজিলের সামনে কৌশলী আর্জেন্টিনা

ইতিহাস বলছে, দুই দলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা দলটার নাম ব্রাজিল, অপর দিকে চলতি বছরের পারফরম্যান্স সাপেক্ষে যোজন যোজন দূরত্বে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। কিন্তু লড়াইটা যখন দক্ষিণ আমেরিকার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর, এসব পরিসংখ্যানে কী-ই বা যায় আসে! মারাকানার ওই নব্বই মিনিটেই ফয়সালা হবে সবকিছুর, সে মাঠের বাইরের লড়াইয়ে যেই এগিয়ে থাকুন না কেন। তবুও লড়াইয়ের আগে মাঠের বাইরে তাকানোরই রীতি। আর তাতে কেবল হতশ্রী অবস্থাটাই দৃশ্যমান হচ্ছে হলুদ শিবিরে। চোটের কারণে নেইমার, ভিনিসিয়াস, রিচার্লিসন, কাসেমিরো, এডারসনদেরকে বেঞ্চেও পাচ্ছেন না কোচ ফার্নান্দো দিনিজ। মাঠের পারফরম্যান্সও যাচ্ছেতাই, চলতি বছরে অনুষ্ঠিত আট ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই হেরেছে ব্রাজিল, জয় মাত্র তিন ম্যাচে। বিশ্বকাপ বাছাইয়েও সুবিধাজনক অবস্থায় নেই দলটি, দশ দলের মধ্যে তাদের অবস্থান পাঁচে। দলের অবস্থা এতটাই করুণ, ম্যাচ-পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে দিনিজ শুধুই ভালো খেলার আশার বাণী শোনাতে পারলেন, “আশা করছি আমরা ভালো খেলতে পারবো, দর্শকেরাও দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের জন্য জয়ের আবহ তৈরি করবেন।” নেইমার-ভিনিসিয়াসের অনুপস্থিতিতে শুরুর একাদশে জায়গা পেতে পারেন চোট থেকে মাত্রই ফিরে আসা গ্যাব্রিয়েল জেসুস, সাথে থাকতে পারেন দুই উইঙ্গার গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি এবং রাফিনহা। আর্জেন্টিনার সমস্যা অবশ্য ততটা গভীর নয়। গত ম্যাচেই উরুগুয়ের কাছে হেরে ১৪ ম্যাচের অপরাজিত-দৌড়টা থেমে গেছে দলটির, তবে কোচ লিওনেল স্কালোনি তাতে খুব বেশি চিন্তিত নন। পাশাপাশি স্কালোনি সম্মানটা রাখছেন ব্রাজিলের প্রতিও, “চাইলে সহজেই বলা যায় যে ব্রাজিল খুব বাজে অবস্থায় আছে। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, কলম্বিয়ার বিপক্ষে ৭০ মিনিট পর্যন্ত তারা দারুণ খেলেছে। কয়েকজনের অনুপস্থিতিতেও তারা যথেষ্ট ভালো দল।” এর বাইরে পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন নিজের দলেও, “কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। তবে সেগুলো খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য নয়, কৌশলগত কারণে।” আনহেল ডি মারিয়া ফিরতে পারেন শুরুর একাদশে, জুলিয়েন আলভারেজের পরিবর্তে সুযোগ পেতে পারেন লাউতারো মার্তিনেজ। তবে দু’দলের হয়ে যারাই মাঠে নামুন, যত ভালো বা খারাপ অবস্থাতেই থাকুক দুই দল, বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোর সাড়ে ছয়টায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সুপার ক্লাসিকোর ফলাফল সম্পর্কে আগাম ভবিষ্যদ্বাণী করা বোকামি। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের আগুনে লড়াই বলে কথা!