উখিয়ায় অবৈধ স’মিল উচ্ছেদ,মুক্ত আকাশে ডানা মেললো শতাধিক সাদা বক পাখি 

0
306
মুক্ত আকাশে ডানা মেললো শতাধিক সাদা বক পাখি 
মুক্ত আকাশে ডানা মেললো শতাধিক সাদা বক পাখি 
আবু সায়েম: 
উখিয়ার পরিবেশ, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তৎপর হয়ে উঠেছে প্রশাসন। নিয়মিত পরিচালনা করা হচ্ছে অভিযান। পাহাড় কাটা, অবৈধভাবে বালি উত্তোলন, বনের কাঠ পাচার ও চিরাইয়ের খবরে অভিযান পরিচালনা করছে উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে রাজাপালং ইউনিয়নের মাছকারিয়ার বিলে অবৈধভাবে পাখি শিকারের সময় অভিযান পরিচালনা করে বনবিভাগ। এসময় ১০৮ টি বকপাখি উদ্ধার করে একইদিন খোলা আকাশে অবমুক্ত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসাইন সজীব। উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে এসব বকপাখি অবমুক্ত করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব বলেন,”প্রায়সময় উখিয়ার মাছকারিয়ার বিলে অবৈধভাবে পাখি শিকার করে দুষ্কৃতকারী ধরনের পাখিখেকোরা। শীত মৌসুমে তাদের দৌরাত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে। রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী মোঃ শফিউল আলম বলেন,বনবিভাগ কর্তৃক উদ্ধার করা পাখিগুলো একইদিন দুপুরে উখিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে খোলা আকাশে অবমুক্ত করা হয়। শিকার কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে আইনের আওতায় আনা হবে।” এসময়  বিট কর্মকর্তা  সদর, ইমদাদুল হাসান, বিট কর্মকর্তা দোছড়ি বিট মো: সাজ্জাদুজ্জামান,  থাইংখালী বিট কমকর্তা বিকাশ দাশ,  ভালুকিয়া বিট কমকর্তা মো: সৈয়দ আলমহ স্টাফবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে,একইদিন দুপুরে রত্নাপালং ইউনিয়নের একটি স’মিলে বনের কাঠ চিরাইয়ে অভিযান পরিচালনা করে প্রশাসন ও বনবিভাগ। উখিয়া থানা পুলিশ ও বনবিভাগের সহযোগিতায় অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেহ আহমদ। অভিযানে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম সহ স্টাফবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম জানান,”বনের কাঠ চিরাই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে একটি চক্র। তাদের স্থাপন করা অবৈধ স’মিল উচ্ছেদ পরবর্তী নিয়মিত বন মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।” উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) সালেহ আহমদ জানিয়েছেন,” গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রত্নাপালং এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা একটি অবৈধ স’মিল উচ্ছেদ করে কাঠ ও যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়েছে।” কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ  সারওয়ার আলম বলেন, কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন উখিয়াসহ যেসব এলাকায়  যারা পশুপাখি শিকার করে ঐসব পাচারকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। জীববৈচিত্র্য রক্ষার পাশাপাশি  সরকারি বনভূমি উদ্ধারে বনবিভাগ সচেষ্ট রয়েছে। সরকারি জমিতে কেউ স্থাপনা নির্মাণ করলে উচ্ছেদ করা হবে  এবং জবরদখলকারী, বনজ সম্পদ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বনভূমিসহ সরকারি সম্পদ  রক্ষার্থে সচেষ্ট ভূমিকা পালন করবো। অভিযান চালিয়ে ভূমি জবরদখল এবং পাহাড়খেকোদের আইনের আওতায় আনা হবে। বন অপরাধ দমনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৪ নভেম্বর ২৩/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here