মোঃ রাশেদুল ইসলাম :
আঁধারে পুরে ছাই হয়ে গেলো এক পরিবহণ চালকের বসতবাড়ি! গত দিনগত রাত (২ ডিসেম্বর) ১.টা ৪০ মিনিটের দিকে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার বাখরেরকান্দি পুনর্বাসন কেন্দ্র নামক এলাকায় ওই দূর্ঘটনাটি ঘটে। সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত দিনগত রাতে পোড়া গন্ধ পেয়ে আশেপাশে দেখতে গিয়ে তারা পাশের ঘরে আগুনের লেলিহান দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ফায়ার সারর্ভিসের কর্মিরা ঘটস্থলে উপস্থিত হয়ে এলাবাসী ও তাদের যৌথ চেষ্টায় যতক্ষণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে, ততক্ষণে ঘরের আসবাবপত্রসহ সবকিছু পুরে ছাই হয়ে যায়। পরবর্তিতে শিবচর থানার একদল পুলিশ গিয়ে ঘটস্থল পরিদর্শন করেন।
বাড়ির মালিকের শ্যালক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, বাচ্চাদের পরিক্ষা শেষে আমরা গত ৩০ তারিখ বিকেলে ঢাকা আমার শশুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ছিলাম, রাতে ফোন পেয়ে জানলাম ঘরে আগুন লেগে সব পুড়ে গেছে। আমি শেষ হয়ে গেলাম! বাড়ির মালিক মোঃ মনির সরদার বলেন, রেল লাইন আর এক্সপ্রেস ওয়েতে আমার অনেক জমি চলে গছে তািই সরকার পুনর্বাসন কেন্দ্রে (আর এস-৫) এক খণ্ড জমি পেয়ে সেখানে একটা ঘর তৈরী করেছিলাম, সেখানে আমার শ্যালক থাকত। সে সামান্ন একজন প্রাইভেট গাড়ির ড্রাইভার কষ্ট করে যা সম্পদ জুরছিল, তা সবই আজ পুরে ছাই হয়ে গেলো!
তিনি আরো বলেন, টিভি, ফ্রিজ, ওয়াসিং মেশিন, এক লক্ষ পঁচাত্তর হাজার নগদ টাকা চার ভরি স্বর্নালঙ্কারসহ ঘরের আসববপত্র যা ছিলো সব পুরে গেছে। শিবচর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের প্রধান তরুণ অর রশিদ খাঁন বলেন, আমরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পূর্বেই ঘরের আসববপত্র সব পুরে যায়। আমাদের প্রথিমিক ধারণা, বৈদ্যুতিক সট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। পরে আমরা আশপাশের আর কোনো ঘরের যেন ক্ষতি হতে না পারে, সেই চেষ্টা করেছি। পাশের কোনো ঘরের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।
০২ ডিসেম্বর ২০২৩