মোঃ শিহাব উদ্দিন :
গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতাকে মামলায় ফাঁসাতে টাকার বিনিময়ে তার প্রতিপক্ষকে ভূয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাউচ আলী শেখ এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, গত ১৩ অক্টোবর মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাকে হয়রানির করার উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষ ওই গ্রামের তারেক ফকির একটি মারামারির কল্পকাহিনী সাজান। ওই ঘটনার পর ওই দিনই তারেক ফকির ও কবির ফকির, সাইফুল ফকি, হাসপাতালের কতিপয় অসাধু কর্মচারীদের যোগসাজশে নিজের মাথা ব্লেড দিয়ে কেটে হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফারুক আহমেদকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে গোপালগঞ্জের আমলি আদালতে তাকেসহ ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
গাউচ আলী শেখ বলেন, হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ভিকটিমের এক্সরে, সিটিস্ক্যানসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রদান করেন। এতে তিনি এবং তার এলাকার নিরীহ লোকজন একটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মামলায় আসামি হয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট বাতিলসহ তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। মামলার বাদী তারেক ফকির বলেন, গাউচ আলী শেখের নেতৃত্বে তার লোকজন আমাকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে। আমি মামলা দায়ের করার পর আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) বলেন, ব্লেড দিয়ে মাথা কেটে এসেছে কিনা আমার জানা নেই। আমি যেভাবে ইনজুরি পেয়েছি সেভাবেই সার্টিফিকেট দিয়েছি।
০৯ ডিসেম্বর ২০২৩