গাছের পাতার চেয়েও যেন চড়ুইয়ের সংখ্যা বেশি, দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

ব্যস্ততম শহরের নকলা হলপট্টিমোড় মহাসড়ক লাগোয়া চন্দ্রকোনা যাবার রাস্তার দু পাশে দোকানের সামনে গেলে দেখা যাবে অবাক করা এক দৃশ্য। একসময় গ্রামীণ জনবসতিতে হরহামেশাই দেখা যেত চড়ুই পাখির দল। গাছপালাসহ আবাস কমে যাওয়ায় চিরচেনা চড়ুই পাখি আর তত দেখা যায় না গ্রামে। তবে কোথাও কোথাও এখনো দেখা মেলে বড়সড়ো ঝাঁকের উপস্থিতি। নকলা  পৌরশহরের হলপট্টিমোড় এলাকায় অবস্থিত দয়াল কম্পিউটার দোকানের সামনে ৪টি কাঠাল ও আম গাছে মেলা বসায় অসংখ্য চড়ুই পাখির দল। গাছ গুলোকে চড়ুই পাখির রাজ্য বললেও ভুল হবে না। এটিতে যেন পাতার চেয়েও চড়ুইয়ের সংখ্যা বেশি। তাদের কিচিরমিচির শব্দে চারপাশ মুখর হয়ে ওঠে। দয়াল কম্পিউটার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ৪গাছে  সন্ধ্যা হলেই ভিড় করতে শুরু করে হাজারো চড়ুই পাখি। গত রবিবার (৩ ডিসেম্বর ) সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত হলপট্টি  মোড়ে অবস্থান করে দেখা গেছে, সূর্যাস্তের আগে দল বেঁধে ছুটে আসে চড়ুই পাখিরা। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাদের কলরবে মুখর থাকে হলমোড় এলাকা। মহাসড়কের নিরন্তর যান চলাচলের শব্দও তাদের ছাপিয়ে যেতে পারেনি। বাসের বিশ্রামরত যাত্রীদের অনেকে অজস্র পাখির কিচিরমিচিরে কৌতূহলী হয়ে এগিয়ে যায় কাঠাল ও আম গাছের নিচে। সেখানে গিয়ে তারা মুগ্ধ না হয়ে পারে না। অনেকেই পাখির সঙ্গে ছবি তুলছে। দয়াল কম্পিউটার এর পরিচালক রাজীব দাদা বলেন  আমি প্রায়ই কাজ ফেলে সময় নিয়ে এখানকার পাখিগুলো দেখি। কালাম বলেন, ‘চারদিকে কত কোলাহল। এর পরও চড়ুই পাখিগুলো এখানে নিজেদের নিরাপদ মনে করে। অনেক দিন থেকে ওরা এখানেই বাস করছে; ঝড়-বৃষ্টিতেও চলে যায় না। পাখিগুলো এমনভাবে গাছের পাতার সঙ্গে মিশে থাকে, হঠাৎ দেখলে মনে হবে সবই গাছের পাতা! নকলা  উপজেলায় বন্য প্রাণী নিধন প্রতিরোধ ও জনসচেতনতায় কাজ করছে ‘ সমাজ উন্নয়ন সংঘ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। চড়ুই পাখিগুলোর বিষয়ে কথা হলে সংগঠনটির সভাপতি মোঃ নুর হোসেন  আলোকিত প্রতিদিন কে জানান, ‘চড়ুই পাখিগুলো প্রতিদিন বিকেলে এসে এখানে বসে। পাখিগুলো আমাদের জীববৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এদের যাতে কেউ শিকার না করেন বা ভয়ভীতি না দেখান, সে জন্য আমাদের সংস্থার পক্ষ থেকে গত বছর সেখানকার দোকানদার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে সচেতন করা হয়েছে। এবং পাখি ধরার খবর পেলে ছুটে যান এবং অবমুক্ত করার চেষ্টা করেন।ইতিমধ্যে অনেক পাখিশিকারিরর হাত থেকে পাখি অবমুক্ত করার নজির রয়েছে।