রানা ইস্কান্দার রহমান:
গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের রোগীদের খাবারের বরাদ্দ কমিয়ে চলছে টাকার পাহাড় গড়ার প্রতিযোগিতা ১৬০ গ্রাম পারুটির জায়গায় ১২৫ গ্রাম আর ৬০ কেজি মাংসের জায়গায় ১৮ কেজি ৭০০ গ্রাম এভাবেই চলছে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের রোগিদের খাবার নিয়ে তেলেসমতি কারবার! গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে গত ২০ শে ডিসেম্বর বুধবার ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ২০৭ জন। সেই তথ্যমতে সরকারি ভাবে রোগীর মাথা পিছু মাংসের বরাদ্দ ২৯১ গ্রাম এবং সকালের নাস্তায় পা রুটি থাকার কথা ১৬০ গ্রাম। অথচ সরেজমিনে হাসাপাতালের রান্না ঘরে গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি ১৬০ গ্রাম পারুটির জায়গায় পাওয়া যায় মাত্র ১২৫ গ্রাম। এ ছাড়াও ভর্তি ২০৭ জন রোগীর মাথা পিছু ২৯১ গ্রাম করে সরকারি হিসেবে মাংস থাকার কথা ৬০ কেজি । অথচ রান্না ঘরে মাংস পাওয়া যায় মাত্র ১৮’কেজি ৭ শত গ্রাম। এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের বাবুর্চি রুবেল মিয়া জানান, প্রতিদিনের বাজার একবারে হয় । যদি হাসপাতালের ঠিকাদার ৬০ কেজি মাংসের জায়গায় ১৮ কেজি ৭০০ গ্রাম দিলে আমার কিছুই করার থাকে না । এখন ওজনে কত গুলো পাইলাম সে দায়িত্ব আমার না । বাজারগুলো বুঝে নেওয়ার জন্য হাসপাতাল থেকে টিম করা আছে তাহারা এগুলো বলতে পারবে । আমার দায়িত্ব শুধু রান্না করা এবং বন্টন করা । তিনি আরো জানান, ৬০ কেজি মাংসের জায়গায় ১৮ কেজি ৭০০ গ্রাম আসলে সেই অনুযায়ী মাংসগুলো ছোট ছোট পিছ করে রান্না করে সবার মাঝে বন্টন করি আমি । সবাইকে মাংস দিতে না পারলে মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারবে। দুর্ণীতির বিষয়ে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: মো: মাহবুব হোসেন জানান, হাসপাতালের বাজার গুলো বুঝে নেবার জন্য একটা কমিটি আছে । সেই কমিটির সভাপতি আরএমও, ওয়াড মাষ্টার, নার্সিং সুপার। ঠিকাদার বাজার পৌছে দেবে এই কমিটি প্রতিদিন ঠিকাদারের কাছে খেকে বাজার বুঝে নেবে । তিনি আরো জানান অভিযোগ গুলো আমি নিজে খতিয়ে দেখবো এবং এই অভিযোগ গুলোর সত্যতার ব্যাপারে আমি একটা তদন্ত কমিটি করে দিব । তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যদি কোন অনিয়ম দুর্নীতি থাকে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৪ ডিসেম্বর ২৩/মওম