মোঃ রাশেদুল ইসলাম (রাসেল) ঃ
শীতকালে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস অথবা গুড় দিয়ে “পিঠা উৎসব”। শহর থেকে আত্মীয় – স্বজনরা শীতের সময় গ্রামে বেড়াতে যায়, রসের পিঠা খাওয়ার একটা বাড়তি আকর্ষণ থেকে। আর সেই চাহিদাকে পুঁজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ি বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশিয়ে খেজুরের গুড় তৈরি করে বাজারজাত করে। যা মানুষের শরীরের অত্যন্ত ক্ষতিকর, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে! ওই রকম একজন অসাধু ব্যবসায়ির সন্ধান পাওয়া গেছে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কাঁঠাল বাড়ী ইউনিয়নের দোতারা (ইয়াছিন মোল্লার কান্দি) এলাকায়। জয়নাল খাঁন নামের ওই লোকটি তার নিজ বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবত বিষাক্ত ক্যামিকেল দিয়ে খেজুরের গুড় তৈরি করে পাইকারিভাবে বাজারজাত করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে মাদারীপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস ও নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা জুয়েল মিয়া যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন। জানা যায়, ইন্ডিয়া থেকে এলসি করে ড্রামে করে গুড় আমদানি করে। সেই গুড়ের সাথে কাপরের রং,হাইড্রোজেন, চিনি,আটা, সালফেট সহ বিভিন্ন উপকরণ মিশ্রণ করে ভেজাল গুড় তৈরি করে। যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতি কারক। অভিযান পরিচালনাকালে কারখানায় থাকা ওই গুড় তৈরির জাবতীয় সরঞ্জামাদী ধ্বংস করা হয় এবং গুড়গুলো বাড়ির পাশে নর্দমায় ফেলে দেয়া হয়। পরে ওই অবৈধ ব্যবসায়িকে নগদ ২৫০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অবৈধ কাজ না করার অঙ্গিকার নিয়ে তাকে সতর্ক করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, এই ভেজাল গুড়ে মানুষের শরীরে ক্যান্সার,হার্টের সমস্যা, স্ট্রোকসহ বড় ধরনের রোগ হতে পারে। ভবিষ্যতে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৬ ডিসেম্বর ২৩/মওম