গাইবান্ধা সদরে নাতিন জামাইয়ের ধারালো ছুরির আঘাতে নানা শ্বশুরের মৃত্যু

0
192
গাইবান্ধা সদরে নাতিন জামাইয়ের ধারালো ছুরির আঘাতে নানা শ্বশুরের মৃত্যু
গাইবান্ধা সদরে নাতিন জামাইয়ের ধারালো ছুরির আঘাতে নানা শ্বশুরের মৃত্যু
রানা ইস্কান্দার রহমান:
গাইবান্ধা সদরে নাতিন জামাইয়ের ধারালো ছুরির আঘাতে নানা শ্বশুর ময়জাল হকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত আমির হামজা। ২৮ ডিসেম্বর গত বৃহস্পতিবার সন্ধার দিকে উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়নের পুলবন্দি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু ময়জাল হকের। নিহত ময়জাল (৭০) বোয়ালি ইউনিয়নের উত্তর ফলিয়া গ্রামের মৃত্যু রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। অভিযুক্ত আমির হামজা (৩৬) ওই গ্রামের আশরাফুলের ইমলামের জামাই। স্ত্রীকে নিয়ে বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়িতে থাকেন তিনি। পুলিশ এবং স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যার দিকে পুলবন্দি বাজারের একটি দোকানের কর্মচারী মুরাদ মিয়াকে মারধর করে আমির হামজা। খবর পেয়ে মুরাদের বাবা আব্দুল আজিজ এবং দাদা ময়জাল হক বাজারে যান। এ সময় আমির হামজা তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। একপর্যায়ে আমির হামজা তার পকেটে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ময়জাল হকের বুক এবং পেটে আঘাত করে। এতে গুরুতর আহত ময়জালকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি। স্বজনদের অভিযোগ, আমির হামজা পকেটে থাকা ছুরি দিয়ে আঘাত করলে ময়জাল হকের মৃত্যু হয়। দাদন ব্যবসায় জড়িত আমির হামজা দীর্ঘদিন ধরেই নানা অপকর্মসহ লোকজনকে মারধর করে আসছিলো। কিছুদিন আগেও আমির হামজা মুরাদের বড় ভাই মাসুদকে ধারালো ছুরি নিয়ে ধাওয়া করে। ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানিয়েও প্রতিকার মেলনি। বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা জানান, ছুরিকাঘাতে মফিজল হকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত আমির হামজাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩০ ডিসেম্বর ২৩/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here