মোহাম্মদ জুবাইর :
দ্বাদশ নির্বাচনের হাতেগুনা কয়েকদিন বাকী। এরইমধ্যে জমজমাট নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা সর গরম পুরো নগরী। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে সংঘাতও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। চট্টগ্রাম-১১ বন্দর-পতেঙ্গা আসনে যেটি আরো চরম আকার ধারণ করেছে। সেখানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতিক নৌকার পোষ্টার ছিঁড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা করছে উল্লাস। ইতিমধ্যে নৌকায় ভাগবসাতে চট্টগ্রাম-১১ বন্দর-পতেঙ্গা আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ লতিফের বিরুদ্ধে মাঠ গরম করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন। জিয়াউল হক সুমন ব্যক্তিগতভাবে আওয়ামী পরিবারের একজন।
এই মুহূর্তে নির্বাচনী মাঠে তার কর্মী সমর্থকরা যেন নৌকাকে ঢুবাতে মরিয়া।প্রতিদিন নৌকার অফিস ভাঙচুর, পোস্টার ছিঁড়ে উল্লাশসহ নানা ধরণের সংঘাত পূর্ণ কর্মকান্ডে লিপ্ত। আসনেই মূলত উত্তেজনা ছড়াচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থী সমর্থকদের নানা কর্মসূচি। নির্বাচনি প্রচার শুরু করার আনুষ্ঠানিক অনুমতি মেলার পর থেকে চট্টগ্রাম ১১ আসনের একাধিক স্থানে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষ, হামলার ও পোস্টার নৌকার ছিঁড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে এ দুই প্রতীকের প্রার্থী ছাড়াও অন্যান্য প্রতীকের প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
এরইমধ্যে চট্টগ্রাম-১১ বন্দর-পতেঙ্গা আসনে নৌকার সমর্থকদের উপর বেশ চওড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমনের কর্মী সমর্থকরা। নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নৌকার সমর্থক ও একনিষ্ঠ কর্মী পতেঙ্গার ফুলঝুড়ি পাড়ার নিজস্ব কার্যালয়ে হামলা চালায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমনের কর্মী সমর্থকরা। এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা অফিস ভাঙচুর সহ নৌকার শত শত পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে ও নৌকার সমর্থকদের মারধর করে। এতে এক নৌকা সমর্থক আহত হয়েছেন।
যিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় নৌকার সমর্থক ও একনিষ্ঠ কর্মী পতেঙ্গার ফুলঝুড়ি পাড়ার নিজস্ব কার্যালয়ে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ লতিফের সমর্থকদের নিয়ে আলাপ আলোচনায় লিপ্ত ছিলেন। একই সময় আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমনের কর্মী-সমর্থকরা হঠাৎ মাসুদের কার্যালয়ে ইট-পাটকেল ছোঁড়া ছুঁড়তে থাকে ও শত শত নৌকার পোস্টার ছিঁড়ে সরকার বিরোধী ও সরকারের উন্নয়ন বিরোধী নানা শ্লোগান দিতে থাকে।
এতে নৌকার এক সমর্থকখে মারাত্মক ভাবে আহত করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা। পরে হামলার বিষয়ে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ লতিফের সমর্থকরা থানায় অভিযোগ করতে গেলে শুরুতে পতেঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মামলা নিতে গড়িমসি করেন। ৪ ঘন্টা চেষ্টার পর ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিলেও কাউকে গ্রেফতার না করে উল্টো নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ লতিফের সমর্থক মাসুক করিম ও তাঁর পরিবারের অপরাপর সদস্যদের বিরুদ্ধে এক গায়েবি মামলা নিয়ে মাসুদ করিম এবং তার পরিবারের সদস্যদেরকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
নৌকার সমর্থক ও একনিষ্ঠ কর্মী মাসুদ করিম অনেকটা আক্ষেপ করে বলেন আমরা নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ লতিফের পক্ষে কাজ করছি। নৌকাকে জিতাতে আমারা সারাক্ষণ মাঠে আছি। আমাদের প্রতিহত করতে যেন বেশ মরিয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা। ইতিপূর্বেও আমাদের উপর স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা হামলা করে ও নৌকার পোস্টার ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে। গতকাল মঙ্গলবার আমার অফিস বসা অবস্থায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা আমার অফিসে ব্যাপক ইট পাটকেল ছূড়তে থাকে ও আমাদের উপর যাপিয়ে পড়ে আমার অফিসের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে ।
নৌকার পোষ্টার ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে উল্লাস করতে থাকে। প্রথমে আমার ১৯ জনের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় মামলা করতে গেলে পতেঙ্গা থানা মামলা নিতে অস্বীকার করে ও জিডি করতে বলে পরবর্তীতে ৪ ঘন্টা পর মামলা নেন। এই মামলায় কাউকে গ্রেফতার না করে উল্টো স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের করা এক গায়েবি মামলায় আমার নাম ও আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নাম জড়ায়। তিনি আরো অভিযোগ করেন পতেঙ্গা থানা পুলিশ স্বতন্ত্র প্রার্থীকে জিতাতে মরিয়া তাই তারা আমাদের করা মামলায় কাউকে গ্রেফতার না করে আমাদের হয়রানি করছেন।
০৩ জানুয়ায়ী ২০২৪
