চট্টগ্রামে প্রতারক চক্রের প্রলোভনে সর্বস্ব হারিয়ে ভুক্তভোগীদের অনশন

0
250
চট্টগ্রামে প্রতারক চক্রের প্রলোভনে সর্বস্ব হারিয়ে ভুক্তভোগীদের অনশন
চট্টগ্রামে প্রতারক চক্রের প্রলোভনে সর্বস্ব হারিয়ে ভুক্তভোগীদের অনশন
আব্দুস সাত্তার টিটু: 
প্রতারক চক্রের প্রলোভনে সর্বস্ব হারিয়ে বুধবার ৩ জানুয়ারী  সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে আমরণ অনশনে বসেন ভুক্তভোগী তিন জন। এরা হলেন মোহাম্মদ ইউনুস মিয়া, শাহাদাত হোসেন এবং মেহেদী হাসান। জানা যায়,ব্যবসায়িক  সম্পর্কে খাতিরে  বিভিন্ন প্রলোবন দেখিয়ে প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিয়েছেন  লক্ষ লক্ষ টাকা। এ দলের প্রধান হচ্ছেন সনদ বড়ুয়া মিঠু এবং প্রতারক চক্রের সহযোগী ইমরুল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান মুরাদ। ইমরুল হাসান এবং মিঠু বড়ুয়া চক্রের পরে সর্বস্বান্ত হয়েছে ২৪ টি পরিবার। অনশনে ভুক্তভোগী মোহাম্মদ ইউনুস মিয়া বলেন, একেক জনকে একেক ভাবে আশ্বস্ত করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। প্রতারক চক্র আমার পাশের দোকানদার হওয়ায় এবং ব্যবসায়িক পরিচিত হওয়ায় এক এক সময় এক এক প্রলোভন দেখিয়ে আমার কাছ থেকে নগদে এবং চেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ টাকা বড়সড় ব্যবসা করে তার কাছ থেকে লভ্যাংশ দিবে বলে আশ্বস্ত করেন। লভ্যাংশ না দিয়ে আমাদের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফলে আমরা রাস্তায় বসেছি। টাকা নেওয়ার পর প্রতারক চক্র আমাদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং আমরা বহুবার তাদের সাথে যোগাযোগে ব্যর্থ হলে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হলাম। আমরা ২০২২ সালে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেছি, এখন ৬ থেকে ৭ টা মামলা চলমান রয়েছে তারমধ্যে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ৩টি তে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে। প্রশাসন ওয়ারেন্ট এর বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।  যদিও আসামিরা এখনো আইনের আওতায় আসে নি। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা করার লক্ষ্যে আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছি। অনশনে আরেক ভুক্তভোগী শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি আগে প্রবাসী ছিলাম বর্তমানে বেকার জীবন যাপন করছি। আমি দুই নম্বর গেইট কসমো পলিটন এলাকায় থাকাকালীন বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ইমরুল হাসান ও সনদ বড়ুয়া মিঠু সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আমার কাছ থেকে নগদে এবং চেকে ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সনদ বড়ুয়া( মিটু) কে আমি টাকা দিয়েছি। বর্তমানে আমাদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় প্রশাসনের নজরদারিতে আনার জন্য আমরা এই অনশনে উপস্থিত হয়েছি। অনশনে উপস্থিত আরেক ভুক্তভোগী মেহেদী  হাসান বলেন, আমি এই প্রতারক চক্রের অফিসে কাজ করেছিলাম।আমার পারিশ্রমিক তো দেয় নাই উল্টো আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকার চেক হাতিয়ে নিয়েছে। এ বিষয়ে আমরা ভুক্তভোগীরা পুলিশ সুপার চট্টগ্রাম জেলা বরাবরে স্মারক নং সিএমপি ২৭৫০, ২/০৪/২০২২ তারিখে একটি অভিযোগ করি। যাহার  সূত্র :- (ক) স্মারক নং-১০৮/পিপিএস, তারিখ-১৬/০৩/২০২২ খ্রিঃ (খ) স্মারক নং-সিএমপি/এসি(চকবাজার জোন)/৫৪৮, তারিখ-২৯/০৩/২০২২ খ্রিঃ। অভিযোগ পত্রটিতে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে  অভিযোগকারী এবং সাক্ষীকে হাজির করণ প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/৩ জানুয়ারি ২৪/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here