জাহিদুল হক রনি, নড়াইল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল – ২ আসনে আবারো মাশরাফির প্রতি আস্থা রাখতে চান ভোটাররা! নির্বাচনের মাত্র ৩ (তিন) দিন আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু নৌকার প্রার্থী মাশরাফিকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান। এর ফলে মাশরাফির নির্বাচনে জয়ের পথ আরো সুগম হলো। নড়াইল সদরের আংশিক ও লোহাগড়া উপজেলা নিয়ে নড়াইল – ২ আসনে মাশরাফি দলমত নির্বিশেষে সবার প্রিয় মুখ।তাছাড়া সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনি ৫ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন করে জনসাধারণের আস্থা অর্জন করেন।যার জন্য নিজ নির্বাচনি এলাকায় তিনি সাধারণ মানুষের মাঝে জনপ্রিয়। নির্বাচনি গণসংযোগে তিনি ভোর হতে গভীর রাত পর্যন্ত দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। ভোটারদের অধিকাংশের মন্তব্য মাশরাফি নির্বাচিত হলে নড়াইল জেলা আরও উন্নত হবে।তিনি আমাদের বিপদেআপদে পাশে থেকে সহোযোগিতা করবেন। আবার অনেকের ধারণা মাশরাফি এবার নির্বাচিত হলে প্রধানমন্ত্রী তাকে মন্ত্রী করবেন, আর নড়াইল জেলার মানুষ প্রথম মন্ত্রী হিসাবে কাউকে পাবে। মাশরাফি মন্ত্রী হলে জেলায় উন্নয়নের হার দ্বিগুণ হবে। ভোটাররা বলেন বর্তমান নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে একমাত্র মাশরাফি বিন মুর্তজাই আমাদের মত সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতিদান দেওয়ার সক্ষমতা আছে। জেলা যুবলীগ নেত্রী বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী রোজিয়া সুলতানা চামেলি বলেন, নির্বাচনি প্রচারণার শুরু থেকে এ পর্যন্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গত ৫ বছরে মাশরাফির উন্নয়ন তুলে ধরেছি মহিলাদের কাছে, আমি আশাবাদী মাশরাফির পক্ষে এবার ভোট বিপ্লব হবে, আর তার সমনে থাকবে আমাদের মা বোনেরা। লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা যুবলীগ নেতা মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার হীরার টুকরো মাশরাফিকে গতবারের চেয়ে বেশি ভোটে নির্বাচিত করে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেবো। জেলা যুবলীগ নেতা শেখ সদর উদ্দিন শামীম বলেন, মাশরাফি অতুলনীয়, ৫ বছরের উন্নয়নই তাকে জনতার বিজয়ের মালা পরাবে। পৌর যুবলীগ নেতা মোঃ আব্দুল্লাহ আল হোসাইন বলেন, আমরা দলগতভাবে একাট্টা হয়ে মাশরাফির বিজয় নিশ্চিত করবো। ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল আহমেদ ফারুক বলেন, নির্বাচনি এলাকার জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিয়ে মাশরাফি ভাইকে নির্বাচিত করবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি