আলোকিত ডেস্ক:
ভোট শুরু হওয়ার ৩ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ভোটার উপস্থিতির সংখ্যা খুব একটা বাড়েনি। তবে সময় যতই গড়াচ্ছে কেন্দ্রের আশেপাশে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর উপস্থিতির সংখ্যা ততই বাড়ছে। কেন্দ্রে অবস্থিত এসব নেতাকর্মীরা ভোটার আনতে অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটার উপস্থিতি দেখাতে কেউ কেউ লাইনেও দাঁড়িয়ে আছেন। রোববার রাজধানী আগারগাঁও এর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমী ও শহীদ শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল স্কুলের কেন্দ্রগুলো ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। সরজমিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিতে দেখা যায়, সকালে ভোটার উপস্থিতি খুবই কম ছিল। সকাল সাড়ে ১১টার পর ভোটার উপস্থিতি কিছুটা বাড়ে। কেন্দ্রের গেটের সামনের রাস্তায় ১০ জনের একটি লাইন দেখা যায়। তবে এখানে ভোটার কম থাকলেও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর সংখ্যা ছিল শতাধিক। তারা বিভিন্ন স্থান থেকে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যেয়ে রিকশা ও সিএনজিতে করে আনার ব্যবস্থা করছেন। এই কেন্দ্রে আনোয়ার নামে নৌকা প্রার্থীর এক কর্মী বলেন, কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে। কিছুক্ষণ পর আরও বাড়বে। আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবাইকে ভোট দিতে বলে এসেছি। অনেককে রিকশায় করে আনতে হচ্ছে। অনেকে আবার গাজীপুরসহ অন্যান্য এলাকা থেকে আসছেন। তাদেরকে আমরা যাতায়াতের জন্য টাকা দিচ্ছে। এছাড়া দুপুরে খাওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে একই অবস্থা আগারগাঁওয়ের শহীদ শাহাবুদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রেও। এই কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি লাইন রয়েছে। বেলা সাড়ে ১০টায়ও এসব ভোটারদের লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখা যায়। এছাড়া এই কেন্দ্রেও ভোটারের চাইতে নেতাকর্মীর উপস্থিতি বেশি দেখা যায়। অন্যদিকে কেন্দ্রটিতে বসার জন্য রাখা হয়েছে চেয়ার। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চেয়ারে বসে থাকা লাইনের সবাইকে সবজি খিচুড়ি দেয়া হয়। তবে অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতাকর্মীদের ভোটকেন্দ্রের আশেপাশে দেখা যায়নি। ওদিকে কেন্দ্রটি ঢাকা-১৩ আসনের। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হলো জাহাঙ্গীর কবির নানক। অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. সোহেল সামাদ বাচ্চু এবং বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের মো. কামরুল আহসান।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৭ জানুয়ারি ২৪/ এসবি