আবু সায়েম:
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন ফুলছড়ি রেঞ্জে অবৈধ বালি পাচারকারী কর্তৃক বনবিভাগের টহল কাজে বাঁধা এবং বনকর্মীদের উপর হামলার ঘটেছে। এ ঘটনায় জীবন নিরাপত্তার স্বার্থে ঈদগাঁহ থানায় সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করেছেন ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা হুমায়ুন আহমেদ। তিনি বলেন,বরাবরই কঠোর অবস্থানে আছি বনজ সম্পদ রক্ষায়। অবৈধভাবে যাতে বালি উত্তোলন করতে না পারে সেজন্য রাত্রিকালিন টহল জোরদার করা হয়েছে। গত ১১ জানুয়ারি রাত ১১ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি হরিখোলা খুটাখালি খাল থেকে পাচারকারী সিন্ডিকেট ডাম্পার যোগে বালি নিয়ে নতুন অফিসের দিকে যাচ্ছে । অবৈধভাবে বালি পাচারকারী সিন্ডিকেটদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করলে অজ্ঞাতনামা লোকজন আমাদের উপর হামলা চালায়। বনকর্মীদের উপর মারমুখী আচরণ করে। তিনি আরো বলেন, বালু পাচারকারী সিন্ডিকেট আমাদেরকে উক্ত স্থানে টহল না করতে মানা করেন। ভবিষ্যতে যদি আমরা টহল কার্যক্রম পরিচালনা করি তাহলে আমাদের দেখে নিবে এবং সুযোগে পেলে ক্ষতি সাধন করবে। বিষয়টি আমাদের কাছে জটিল মনে হওয়ায় জীবন নিরাপত্তার স্বার্থে সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করি। জানা যায়, ফুলছড়ি রেঞ্জের আশেপাশে এলাকায় বালি পাচারকারী সিন্ডিকেট বালি নিতে না পারায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, কারণ বর্তমান রেঞ্জ কর্মকর্তা অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে আছে । শক্তিশালী সিন্ডিকেট বনবিভাগের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বালি উত্তোলন ও পাচারের মতো জঘন্য অপরাধ কিভাবে করা যায় তার নীল নকশা আঁকছে। বনবিভাগের কর্মীরা বাঁধা প্রদান করলে অথবা টহল জোরদার করলে প্রভাবশালী বালি সিন্ডিকেট বনকর্মীদের উপর প্রায় হামলা চালায়। এমনকি পাচারকারী সিন্ডিকেট বনবিভাগের কর্মকর্তা ও বনকর্মীদের দমন করতে মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়ানোর পাশাপাশি ষড়যন্ত্রের জাল বুনে। সবকিছুতে ব্যর্থ হলে হামলা চালায় হুমকি -ধমকি দিয়ে বনবিভাগের কার্যক্রমকে ব্যাহত করার চেষ্টা করেন। ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন আহমেদ বলেন,বন ও বনজ সম্পদ রক্ষায় সব সময় সজাগ ও সতর্ক রয়েছি।সরকারি সম্পদ রক্ষায় কোন ষড়যন্ত্র হামলা – হুমকি দিয়ে আমাদের কার্যক্রমকে বন্ধ করা যাবে না। বালি পাচারকারীদের চিহ্নিত করে পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় শীঘ্রই তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আমাদের উপর হামলার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তাদের পরামর্শে সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করি। সরকারি সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে অজ্ঞাত বালি পাচারকারী সিন্ডিকেটদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পুলিশ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, ও বনজ সম্পদ রক্ষায় বনবিভাগ সজাগ ও সতর্ক রয়েছেন। বনভূমি জবরদখল ও পাহাড়কর্তনকারী যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেন বন অপরাধ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বনবিভাগের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে বনবিভাগের নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়েছে ।অবৈধভাবে পাহাড়ি মাটি,বালি ও কাঠ পাচার রোধে বনবিভাগের নিয়মিত অভিযানও চলমান রয়েছে। সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে বনবিভাগকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৩ জানুয়ারি ২৪/ এসবি