প্রতিনিধি,নোয়াখালী:
নোয়াখালীর সেনবাগে এক প্রবাসীকে মাথায় আঘাত করে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে। নিহত প্রবাসীর নাম শাহিদুজ্জামান পলাশ ওজি। ১৪ জানুয়ারি শনিবার রাত ১০টার দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব মির্জানগর গ্রাম থেকে পুলিশ নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহত শাহিনুজ্জামান পলাশ ওই গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ বছর আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসে পলাশ। এরইমধ্যে পুনরায় ইতালি যাওয়ার জন্য টাকাও জমা দিয়েছে সে। তারা আরো জানায়,সদ্য শেষ হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিকের পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করে পলাশ। নির্বাচনের দিন একটি কেন্দ্রে এজেন্টের দায়িত্বে ছিলেন পলাশ। নিহতের ফেসবুক আইডি দেখে নির্বাচনে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সবশেষে মৃত্যুর কিছুক্ষন আগেও অল মানিক ভাই লিখে পাবলিক পোস্ট করেছিলেন পলাশ। তবে এ হত্যাকান্ড নির্বাচনী সহিংসতা নাকি অন্য কোন ইস্যাু তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ বা স্থানীয় লোকজন। সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মাথায় ভারি কোনো জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে। তিনি আরও জানান, নিহতের স্ত্রী ও স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পলাশ ওজি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে শশুর বাড়িতে থাকতেন। তার বাড়িতে (ঘটনাস্থল) একটি বসত ঘরের পাশাপাশি একটি মুরগির খামার ছিল, এগুলো দেখা-শোনা করতে পলাশ এখানে আসতো। সবশেষ শনিবার বিকেলে কিছু মুরগি বিক্রি করার পর খামারে কর্মরত দুই কর্মচারী সন্ধ্যায় চলে গেলে পলাশ একা খামারে ছিল। রাত ৮টার দিকে নিজের স্ত্রীর সাথে মোবাইলে কথা বলে সে এবং খামার থেকে একটি হাঁস পার্টিতে গিয়ে রাতে বাড়ি ফিরবে বলে জানায়। ওসি বখতিয়ার বলেন, এরপর রাত ১০টার দিকে স্থানীয় লোকজন তার ঘরের পাশে পলাশের রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং হত্যার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে কিভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছিল।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৪ জানুয়ারি ২৪/ মওম