জোবায়দুর রহমান:
সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে এ লক্ষ্যে মাদকদ্রব্য অভিদপ্তর সহ পুলিশ,র্যাব,বিজিবি এবং সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন একযোগে কাজ করে যাচ্ছে । এরই ধারাবাহিকতায় গাইবান্ধা জেলা মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর গেল বছরেই প্রায় কোটি টাকার মাদক জব্দ করেছে। গাইবান্ধা জেলা মাদকদ্রব্য অভিদপ্তর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ইং পর্যন্ত ১০৩৮টি অভিযান পরিচালনা করে গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক দ্রব্য জব্দ করে এবং মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১০০ টিরও অধিক মামলা করে। জব্দকৃত মাদক দ্রব্যের মধ্যে হিরোইন, ফেন্সিডিল,ইয়াবা,বিদেশি মদ,এ্যাম্পুল,টাপেন্টাডল ট্যাবলেট,গাঁজা,চোলাই মদ এবং এর সঙ্গে আরও জব্দ করা হয় পরিবহনকৃত মোটরসাইকেল,অটোরিকশা, মোবাইল ফোন,মোবাইলের সিম, কম্পিউটার মনিটর,সিসি ক্যামেরা , পিকআপ ভ্যান, হিরোইন পরিমাপ যন্ত্র ও নগদ অর্থ।মাদকদ্রব্য আইনে নিয়মিত মামলাকরা হয় ১৭৩ টি। মাদকে জিরো টলারেন্স এ নিয়ে আসতে প্রশাসনের পাশাপাশি সামাজিক ভাবে সচেতনামূলক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে বলে জানিয়েছেন গাইবান্ধা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ অধ্যক্ষ জনাব মোঃ খলিলুর রহমান। তিনি বলেন যারা মাদক আসক্ত তারা এক ধরনের রোগী তাই রোগীকে ভালো করতে হলে আমাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে এবং এদের সংশোধনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সহ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সামাজিক বন্ধনে ঘাটতি, হতাশা, বেকারত্ব বিভিন্ন কারণে দিন দিন মাদক সেবির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তিনি আরোও বলেন আমি ব্যক্তি গত পাঁচ জন মাদক সেবিকে নিয়ে জরিপ করে দেখেছি এতে বেশিভাগই সামাজিক বন্ধন ঠিক না থাকার কারণেই মাদক আসক্তের দিকে ধাবিত হচ্ছে।সর্বোপরি প্রশাসনের পাশাপাশি সামাজিক ভাবে আন্দোলনই পারে মাদককে শূন্যের কোটায় আনতে। এ বিষয়ে গাইবান্ধা পৌর মেয়র জনাব মতলুবর রহমান বলেন, মাদকের জিরো টলারেন্স -এ আনতে মাদকদ্রব্য এমন অভিযান সত্যিই প্রশংশনীয়, তিনি বলেন সন্তানেরা কোথায় যাচ্ছে কি করেছি কার সাথে বন্ধুত্ব করছে এ বিষয়গুলো অভিভাবকদের কঠোর নজর রাখতে হবে। তাহলেই আমাদের সন্তানদেরকে মাদক ভয়াবহতার হাত থেকে বাঁচানো কিছুটা হলেও সম্ভব হবে। পাশাপাশি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে মাদকের ভয়াবহতার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। গাইবান্ধা জেলা বাস মিনিবাস কোর্স ও মাইক্রোবাস ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আশরাফুল আলম বাদশা বলেন, গাইবান্ধা একটি ছোট্ট শহর এই শহরে উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা বিভিন্ন কারণে মাদকমাদক সেবনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে যুবসমাজকে। তিনি আরো বলেন আমি ব্যক্তি গত উদ্দকে গাইবান্ধা বাসস্ট্যান্ডকে মাদক মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে,এভাবে যদি সকলেই নিজ নিজ স্থান থেকে মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় তাহলেই মাদকের জিরো টলারেন্স এ আনা সম্ভব হবে। শুধু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর নির্ভর হইলেই হবে না আমাদের সকলকেই সচেতন হতে হবে। গাইবান্ধা জেলা মাদকদ্রব্য অভিদপ্তর(ডিএনসি) পরিচালক মো: শাহ্ নেওয়াজ বলেন মাদককে জিরো টলারেন্স আনতে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৫ জানুয়ারি ২৪/মওম
