কাশিমপুরের খাল গুলো অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে কতিপয় ভূমিদস্যুরা

0
313
কাশিমপুরের খাল গুলো অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে কতিপয় ভূমিদস্যুরা
কাশিমপুরের খাল গুলো অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে কতিপয় ভূমিদস্যুরা
প্রতিনিধি,গাজীপুর:
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত খাল গুলো অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে কতিপয় ভূমিদস্যুরা।এমনকি খাল ভরাট করে শিল্প-কারখানা,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,দোকানপাট,শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান,ভবন ও রাস্তাঘাট তৈরির ফলে খালগুলোর মানচিত্রই বদলে গেছে। এগুলো পুনরুদ্ধারে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন গত পাঁচ বছরে ঢাকঢোল পিটিয়ে উচ্ছেদের চেষ্টা করলেও প্রভাবশালী মহলের কাছ থেকে এসব খাল দখল মুক্ত করতে পারেনি। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই মহানগরীর বড় অংশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আর পানিতে ভাসতে হয় নিম্নাঞ্চলের দুই লাখেরও বেশি মানুষকে। সরজমিনে গিয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়,মহানগরীর কাশিমপুরের ১ নং ওয়ার্ডের মধ্যে অভ্যন্তরীণ খাল গুলো অনেক আগেই অবৈধভাবে দখল হয়ে গেছে। এসব খালের অধিকাংশই প্রভাব খাটিয়ে দখল করে সেখানে স্থায়ীভাবে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন প্রভাবশালীরা। এদিকে পরিবেশবিদরা বলছেন,অবৈধ দখলের ফলে বৃষ্টির মৌসুমে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতাসহ পচা নর্দমার দুর্গন্ধে পরিবেশের ভারসাম্য হুমকির মুখে পড়েছে।ফলে বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণ পানিশাইল,উওর পানিশাইল মৌজার হাজার হাজার একর জমির পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। মাছিহাতা এলাকার এক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন,এলাকার বেশ কয়েকটি খাল দখল করে বসতঘর ও রাস্তা নির্মাণ এবং বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আপত্তি জানালেও কোনো ধরনের কর্ণপাত না করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো জানান,এই দখলদারদের সবাই ক্ষমতাসীন দলের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে থাকেন। পলাশ হাউজিং এলাকার আরেক বাসিন্দা জানান,বর্ষা মৌসুম এলেই দুর্ভোগের আর শেষ থাকে না! এলাকার খালগুলো দখল হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশনও হয় না। এমনকি এলাকায় পয়ঃনিষ্কাশনের একমাত্র পথ এই খাল। যার বিভিন্ন স্থান দখল হওয়ায় স্বাভাবিক পানির প্রবাহ কমে গেছে। তিনি জানান,প্রতি বর্ষা মৌসুমে এখানকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে পানিতে ভাসতে হয়। একই এলাকার বাসিন্দা চৌধুরী বলেন এলাকার অধিকাংশ খাল দখলদাররা ভরাট করেছে ফলে পানি নিষ্কাশন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে এবং এটিই জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ। পরিবেশবান্ধব সংগঠকের এক নেতা বলেন,অবৈধ দখলদারদের দখলি তৎপরতা অব্যাহত থাকলে নগরে স্থায়ী জলবদ্ধতার সৃষ্টি হতে পারে। তিনি মনে করেন,যে কোনো মূল্যে অতি দ্রুত খালগুলো দখলমুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে দূষণ কমাতে পরিকল্পিত নগরায়নের দিকে নজর দিতে হবে। অবৈধ দখলদারদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে এবং এদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-৮ এর নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন,ক্ষমতাবানদের অবৈধ দাপটের কারণে এ অঞ্চলের খালগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। তাদের ক্ষমতার বিপরীতে আইন কাজে লাগে না। কিন্তু,সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে পরিবেশের ভালো-মন্দ উপলব্ধি করে তাদের এ অবস্থা থেকে সরে দাঁড়ানো প্রয়োজন।আর খালের জমি উদ্ধারে অতি দ্রুত সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৬ জানুয়ারি ২৪/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here