মোঃ রাশেদুল ইসলাম
উপজেলার পাঁচ্চর এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়দের ভাস্যমতে নিহত ব্যক্তি অনেক দিন ধরেই শিবচরের পাঁচ্চর, কুতুবপুর এলাকায় ঘুরাফিরা করতো। তার নাম-পরিচয় কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে তার বয়স আনুমানিক ৪০ বছর।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে মধুমতি এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেন পদ্মা রেল ষ্টেশন অতিক্রম করে ঢাকার দিকে যাওয়ার সময় নিহত লোকটি রেল লাইনের পাশ দিয়ে হাঁটাহাঁটি করছিলো বলে স্থানীয় লোকজন জানান। মূহুর্তের মধ্যেই মুখের অংশে ধাক্কা লেগে ছিটকে লাইন থেকে ৩০ ফুট নীচে পড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পদ্মা রেল ওয়ে ষ্টেশন মাস্টার খাইরুল ইসলাম জানান, ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ছেড়ে এসে পদ্মা ষ্টেশনের কাছাকাছি আসলে টানা হুইসল শুনতে পান তাঁরা, পরে জানতে পান এক ব্যক্তি ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেছে। তবে, স্থানীয়রা এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ৮ ঘন্টা করে ৩ সিপ্টিতে আনসার বাহিনী ২৪ ঘন্টা এই ট্রেন লাইনে ডিউটি করে, তারপরও এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মানা যায় না, এখানে আনসারদের অবহেলা রয়েছে। স্টেশন কর্তৃপক্ষ ঘটনাটা জানার পরেও দুপুর ১টা থেকে রাত্র ৯ পর্যন্ত লাশটি দূর্ঘটনাস্থলেই পরেছিলো।
অত্র এলাকায় রেলওয়ে পুলিশ না থাকায় লাশটি এভাবে দীর্ঘক্ষণ পড়ে ছিলো বলে কর্তৃপক্ষ জানান। পরে রাজবাড়ী রেলওয়ে পুলিশের এস আই তাছির এর নেতৃত্বে এবং শিবচর থানার একদল পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে রাত ১০ টার দিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন। স্থানীয় বাসিন্দা সায়েদ মোল্লা নামের এক ব্যক্তি বলেন, লোকটি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলো। এই এলাকা দিয়েই ঘুরাফিরা করতো। দুপুরে ট্রেনলাইনে হাঁটাহাঁটি করছিলো, ট্রেনের ধাক্কায় আজ সে মারা গেল! উল্লেখ্য, এর আগেও ২৪ নভেম্বর, ২০২৩ ইং ইব্রাহিম নামের এক তরুণের একইভাবে মৃত্যু হয়। শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪