একেএম ফারুক হোসেন:
নোয়াখালী জেলা শহর সোনাপুর বৃহত্তর নোয়াখালীর সাথে সারাদেশের একমাত্র যোগাযোগের হাব ।এখান থেকে প্রতিনিয়ত দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে বাস ও রেলের মাধ্যমে গড়ে কয়েক লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করে। এখানে রয়েছে একটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল এবং রেলওয়ে স্টেশন। এছাড়াও নোয়াখালী ও লক্ষীপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ছেড়ে আসে বাসসহ সিএনজি থ্রিহইলার যানবাহন।এ রাস্তা ব্যবহার করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছে আরো কয়েক হাজার মানুষ। যারা প্রতিনিয়ত এ রাস্তায় যাতায়াত করে।এর ফলে সোনাপুরে প্রায় দূর্ঘটনা ও যানজটে পড়তে হত ব্যবহারকারীদের।পরিস্থিতি উন্নতি ঘটাতে এ সড়কটিকে ফোরলেনে যুক্ত করা হয়।তারপরও যানজটের সুরাহা না হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছিল।মানুষের দূর্ভোগ লাগবে জেলা ট্রাফিক পুলিশ একটি সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়ায় বর্তমানে যানজট প্রায় শূন্যের কৌটায়।এমন যানজটমুক্ত পরিবেশে চলাচল করতে পারায় এ সড়ক ব্যবহারকারীদের মনে ফিরেছে স্বস্তি।সোনারপুর কাঠপট্টির বাসিন্দা সুবর্ণচর একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আবুল খায়ের বলেন,আগে সুবর্ণচর যেতে কয়েকঘন্টা লেগে যেত যেটা এখন আধা ঘণ্টায় নেমে এসেছে।এমন যানজটমুক্ত দৃশ্য তিনি এর আগে স্বপ্নেও দেখেননি।এ সড়কে প্রতিনিয়ত যাতায়াতকারী জেলা শহরের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আকাশ মুহাম্মদ জসিম বলেন,বর্তমান সড়কের অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। যানজট পরিস্থিতি উন্নত করায় এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, পরিবেশটির একটা স্হায়ী রূপ দিতে ট্রাফিক পুলিশ সচেষ্ট হবেন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নাগরিকরাও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবেন বলে তিনি আশাবাদী। নোয়াখালী জেলা ট্রাফিক পুলিশের টিআই (এ্যাডমিন) সিরাজ উদ- দৌলা বলেন,দীর্ঘদিন থেকেই সোনাপুরের যানজট পুলিশকে ভাবিয়ে তোলে।নতুন পুলিশ সুপার জেলায় যোগদান করে আমাদের বিষয়টি নিয়ে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেন।সে আলোকে আমরা এই যানজটের একটা স্হায়ী রূপ দিতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় করে বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে এর সমাধান খুঁজে বের করি।নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী বাস চালক নূর নবী জানান,আগে টার্মিনাল থেকে বাস বের করে সোনাপুর পার হতে প্রায় ঘন্টা খনেক সময় লেগে যেত। লং জার্নির সময় এমন সময় ক্ষেপণে মন মেজাজ খারাপ হয়ে যেত। অবশ্য সেটা এখন আর নেই। সোনাপুর -চট্টগ্রাম রুটে নিয়মিত চলাচলকারী বাঁধন পরিবহনের চালক রায়হানও একই ভোগান্তির কথা বলে জানান বর্তমানে অনেকটা নির্বিঘ্নে সোনাপুর পাড়ি দিতে পারছেন। ফুটপাত ব্যবহারকারী এক পথচারী বলেন,আগে এখানে পায়ে হেঁটে চলাচল করা কষ্ট সাধ্য ছিলো। কিন্তু বর্তমানে ফুটপাত হকার মুক্ত থাকায় বিনা বাধায় রাস্তায় চলাচল করতে পারছেন। এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলার সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য, আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সহসভাপতি আওয়ামীলীগ নেতা,সোনাপুর বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, বাঁধন বাস পরিবহনের এমডি ও নোয়াখালী বাস মালিক সমিতির সহসভাপতি তরুণ প্রজন্মের ও খেটে খাওয়া মানুষের জনপ্রিয় নেতা মোঃ কামাল উদ্দিন বলেন,সোনাপুর জিরো পয়েন্টর যানজটে মানুুষ দীর্ঘদিন ভোগান্তিতে পড়েছে।কয়েক লক্ষ মানুষের দূর্ভোগ লাগবে রাস্তায় দখলে থাকা শতাধিক হকারকে উচ্ছেদ করি।হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে এই বিষয়ে কে কি বললো তাতে কিছু যায় আসে না।আমার কাছে সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের দূর্ভোগ সবার আগে প্রাধান্য দিয়েছি।এবং সোনাপুরের যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশকিছু শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছি।যাদের দৈনন্দিন বেতন ভাতা আমিই প্রদান করি। নোয়াখালী জেলার নতুন পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম পিপিএম বলেন,যোগদানের পর হতে সোনাপুরের যানজট নিয়ে একাধিক অভিযোগ আসে।এই পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাফিক পুলিশকে যানজট নিরসনের জন্য নির্দেশ দেই।তিনি বলেন, এ কৃতিত্ব আপনাদের। পরিবহন সংশ্লিষ্ট শ্রমিক, নেতা সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টার একটা সফল আয়োজন সোনাপুরকে যানজটমুক্ত পরিবেশ উপহার দেওয়া।এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে সাংবাদিকদের মাধ্যমে ধন্যবাদ জানান।