ডা. নন্দা সেনের প্রচেষ্টায় বদলে যাচ্ছে কোটালীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

0
215
ডা. নন্দা সেনের প্রচেষ্টায় বদলে যাচ্ছে কোটালীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
ডা. নন্দা সেনের প্রচেষ্টায় বদলে যাচ্ছে কোটালীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
মোঃ শিহাব উদ্দিন:
ভালো চিকিৎসার প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কর্মকর্তা ডাক্তার নন্দা সেনের প্রচেষ্টায় কোটালীপাড়া  হাসপাতালের বেহাল রূপের অবকাঠামোর পরিবর্তন থেকে শুরু করে চিকিৎসা ব্যবস্থা, পরীক্ষা নিরীক্ষা ব্যবস্থা,  দীর্ঘ বছরের স্থগিত থাকা সিজার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। নরমাল ডেলিভারি রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে।   এক্স-রে মেশিন চালু করে নিয়মিত  এক্সরে করা হচ্ছে।  এছাড়া রোগী নিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের বিরক্তিকর পরিবেশ থেকে রক্ষা করেছে।  মাদক সেবীদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে।  ,হাসপাতালে কর্মরত কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের  নিয়মিত অফিসে আসতে হচ্ছে ও সেবা প্রদান করতে হচ্ছে। বন্ধ থাকা  আল্ট্রাসোনো চালু করে ২০২৩ ইং সালে   রাজস্ব খাতে ৯ লক্ষ ২৯ হাজার ১ শত ২০ টাকা জমা হয়েছে। কোটালীপাড়া  উপজেলা হাসপাতাল থেকে ২০২৩ ইং সালে  সরকারি রাজস্ব খাতে ২৯ লক্ষ ৬০ হাজার ১ শত ৯০ টাকা জমা করেছেন। যাহা আগে কখনো এভাবে জমা হয়নি। অনিয়মের হাত থেকে হাসপাতালের  রক্ষা ও নিরাপত্তার  জন্য সিসি ক্যামেরা  দ্বারা  পর্যবেক্ষণ করা হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের   দৃশ্যপট  পাল্টে দিয়েছেন বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নন্দা সেন।৷ তিনি কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০২৩ ইং সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি  যোগদান করেন। তখন কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য  কমপ্লেক্স  ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ছিল। বর্তমানে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় জনবলের সংখ্যা না বাড়ার কারণে  স্বল্প জনবল দিয়ে হাসপাতালকে চালাতে সার্বক্ষণিক কর্মব্যস্ত সময় পার করেন এই কর্মকর্তা। ডায়রিয়ার শিশু রোগীর মা আরতী(৩৫) বলেন আজ দুদিন হাসপাতালে এসেছি, এখন আমার বাচ্চা অনেকটা সুস্থ। আগে দুর্গন্ধে  হাসপাতালে থাকা যেত না বর্তমানে দুর্গন্ধ মুক্ত হয়েছে। বিথি বারই (২৮)বলেন আমার বাচ্চা ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত। এত ভালো চিকিৎসা পাব আশা করিনি। দেখাতে আসা  রোগী ফেরদৌস শেখ( ২৫) বলেন আমি   পশ্চিম পাড় থেকে অটোভ্যান চালিয়ে আসার সময়, তেল  পাম্প এর কাছে মাহেন্দ্র গাড়ির সাথে অ্যাকসিডেন্ট হয়। চিকিৎসার জন্য কোটালীপাড়া উপজেলা হাসপাতালে গেলে অনেক ভালোভাবে আমার চিকিৎসা করেছেন। আগে কখনো এভাবে চিকিৎসা করতে দেখিনি। রোগী মোহাম্মদ রাজা আলী বলেন (৬০) আমি হার্টের রোগী। আজ ৩ দিন হয়েছে  হাসপাতালে এসেছি।  এখন অনেকটা সুস্থ। চিকিৎসার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আগের চেয়ে হাসপাতালে  চিকিৎসা মান অনেক বেড়েছে।  হাসপাতাল থেকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালে ৫০ শয্যার কোটালিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টি ১০০ শয্যায়  উন্নতি করা হলেও ১০০ শয্যার যে জনবল থাকা দরকার তার তুলনায়  অনেক কম ।২০২১ সালে অন্তঃ বিভাগে রোগীর সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৪৯১ জন। জরুরী বিভাগে ৯ হাজার ৪ শত ৪ জন রোগী। আউটডোর ৯১ হাজার ৬ শত ৭৩ জন। ২০২৩ ইং সালে অন্তঃ বিভাগে ১১ হাজার     ১ শত ৫৭ জন রোগী। জরুরী বিভাগে ২০ হাজার ৪ শত ৯৭  জন রোগী। আউটডোর  ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৪ শত ১৫ জন রোগী চিকিৎসা সেবা পেয়েছে। হাসপাতালে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নন্দা সেন বলেন হাসপাতালটি পরিষ্কার রাখতে হিমসিম খেতে হয়। রোগীরা যেখানে সেখানে পানের পিক ফেলায়। বাথরুমে এমন ব্যবস্থা করে, বারবার পরিষ্কার করতে লোক আনতে  হচ্ছে। তাছাড়া দালাল চক্র ও  সুবিধাবাদী পিপাসুরা আমার কাজের ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে।আমি কোনো অপপ্রচারের পরোয়া করি না।  কারণ আমি ২০২৩ ইং সালের ২৮  ফেব্রুয়ারিতে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য  কমপ্লেক্সে যোগদান করি। আমার যোগদানের পর অতীতের  হাসপাতা আর বর্তমান হাসপাতালের অবকাঠামো কতটা পরিবর্তন হয়েছে অফিসিয়াল কাগজপত্রে  তার প্রমাণ রয়েছে।   কে কি বলল তা নিয়ে আমার ভাবার সময় নেই।  সঠিকভাবে কাজ করেই যাব।হাসপাতালের উন্নতি ও সেবা প্রদান করাই আমার উদ্দেশ্য
আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ ফেব্রুয়ারি ২৪/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here