একেএম ফারুক হোসেন :
পুলিশের ভাবমূর্তি ফেরাতে নানাবিধ উদ্যোগের অংশ হিসাবে ‘দরজা খোলা’ সেবার নীতি চালু করেছেন জেলায় সদ্য যোগদানকৃত পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম পিপিএম। গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে নোয়াখালী জেলায় নতুন পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদান করেন। নতুন কর্মস্থলে যোগ দিয়ে তিনি সেবাটি চালু করেন। সেবা গ্রহীতা সোনাইমুড়ীর কালুয়াইয়ের পারভীন জানান, তার এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার হলে তিনি নিজেকে অনেকটা অসহায়ত্ব প্রকাশ করে স্থানীয় এক সাংবাদিকের মাধ্যমে নতুন পুলিশ সুপারের কাছে একটি অভিযোগ নিয়ে আসেন গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার। বিনা বাধায় অফিসে ঢুকলে এসপি আমার অভিযোগের বিষয়টি শোনার জন্য তার চেয়ার ছেড়ে দিয়ে আমার কাছে এসে দাঁড়ান। আমার অভিযোগ শোনার পর তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সোনাইমুড়ী থানার ওসিকে ফোন দিয়ে আমার অভিযোগ আমলে নিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। তিনি আরো বলেন, সত্যি বলতে এখানে আসার আগে এমন সেবা পাবো সেটা আমি ভাবতেও পারিনি। জেলার একটি স্হানীয় পত্রিকার সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আকাশ মুহাম্মদ জসিম বলেন, গত দুই যুগ নোয়াখালীতে এ পদে বেশ কয়েকজন পুলিশ সুপার দেখেছি। কিন্তু পেশাগতভাবে তাদের সাথে সাক্ষাতের ইচ্ছে থাকলেও নানান জটিলতায় সহজে দেখা করা যেত না। বিষয়টি একজন পেশাদার সাংবাদিক হিসাবে আমার কাছে দৃষ্টিকটূ লাগতো। সম্প্রতি এ জেলায় নতুন পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদান করা মোঃ আসাদুজ্জামানের জনবান্ধন ‘দরজা খোলা সেবা’ নীতিতে আমি মুগ্ধ। জেলার ট্রাফিক পুলিশের টিআই এ্যাডমিন সিরাজ-উদ-দৌলা বলেন, আমাদের নবাগত পুলিশ সুপার একজন চৌকষ ব্যতিক্রমধর্মী পুলিশ কর্মকর্তা হিসাবে সর্বমহলে প্রশংসিত। এই সেবা নীতি অব্যাহত থাকার বিষয়ে প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা সেবা প্রত্যাশীরা প্রয়োজনে ভোর ৫ টায় ফোন দিলেও আমি সেবা দিতে প্রস্তুত আছি। উল্লেখ্য বাংলাদেশ পুলিশ ক্যাডারের ২৫ তম ব্যাচের এ কর্মকর্তার বাড়ি শরিয়তপুর জেলার গোসাইর হাটে। এর আগে তিনি ঢাকার বিশেষ পুলিশ সুপার হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
আলোকিত প্রতিদিন/২০ ফেব্রুয়ারি-২৪/মওম