নোয়াখালীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

0
204
নোয়াখালীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
নোয়াখালীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
একেএম ফারুক হোসেন ঃ
শহিদের রক্তে রাঙা, আমাদের এই মাটি। ২১শে ফেব্রুয়ারি,অমর এই দিনটি।সালাম,বরকত,রফিক,শফিউর,জব্বারসহ নাম না-জানা বীরদের ত্যাগের তুলনা নাই,তাইতো হৃদ্য প্রাণে তাদের প্রতি বারে- বার সালাম জানাই। মহান ভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ভাষা শহিদদের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নোয়াখালী শহরের জজকোর্ট সড়কস্থ শহিদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করেছেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, সিভিল সার্জন কার্যালয়সহ রাজনৈতিক ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। ২১ ফেব্রুয়ারি রাতের প্রথম ভাগে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি পরম শ্রদ্ধা জানান তাঁরা। এ সময় নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) নাজিমুল হায়দার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)  মিল্টন রায়সহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জেলা পুলিশের পক্ষে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বিপিএম, পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন এবং জেলার সিভিল সার্জন ডা. মাসূম ইফতেখারসহ সংশ্লিষ্টরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নামে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিণ্টু, সাধারণ সম্পাদক মিথুন ভট্রসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন। একইভাবে, নোয়াখালী জেলা বিএনপির পক্ষে দলের কেন্দ্রীয় নেতা মো. শাহজাহান, জেলার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রহমান, শহর বিএনপির সভাপতি আবু নাছের প্রমূখ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। অপরদিকে, নোয়াখালী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, গণপূর্ত, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের পক্ষে স্ব স্ব বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ফুল দিয়েছেন বলে জানান।১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে মাতৃভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন বাংলার তরুণরা।২১শে ফেব্রুয়ারিকে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করে জাতিসংঘের ইউনেস্কো । এবারের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে “বহুভাষিক শিক্ষা – শিক্ষা এবং আন্তঃপ্রজন্মীয় শিক্ষার একটি স্তম্ভ “। অর্থ্যাৎ মাতৃভাষা অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার জন্য এবং আদিবাসী ভাষা রক্ষার জন্য অত্যাবশ্যক।
আলোকিত প্রতিদিন/২১ ফেব্রুয়ারি-২৪/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here