একেএম ফারুক হোসেন
নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ইদিলপুর গ্রামে সাবেক স্বামী কর্তৃক স্ত্রী, কন্যা,শাশুড়ীকে নৃশংসভাবে কোপানোর মামলায় মূল আসামি সাবেক স্বামী মোঃ আমির হোসেন (৪৫)কে চট্রগ্রামের বাকলিয়া থানার চাক্তাইর হোটেল আল সিরাজের নিচে থেকে গ্রেপ্তার করে নোয়াখালী জেলা পুলিশ। তাঁর দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হোটেলের দ্বিতীয় তলায় রক্ষিত তার ব্যাগ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দা ও ছুরি উদ্ধার করে। এবিষয়ে আজ ২২ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালী জেলা পুলিশ নোয়াখালীতে কর্মরত সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলার ২ নম্বর আসামি সোনাইমুড়ী থানার অম্বরনগর গ্রামের মৃত সফি উল্যার ছেলে মোঃ বেলাল( ৪৮) কে গ্রেপ্তার করে।তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম পিপিএম মূল আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেন। এরেই একপর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মূল আসামিকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে।তাঁকে আজই বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য অর্জুনতলার ইদিলপুর গ্রামের মেয়ে ফাতেমা খাতুনের( ৩৮) সাথে বিগত ২০ বছর আগে আমির হোসেনের বিয়ে হয়।সেই ঘরে ২ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।কিন্তু বিয়ের পর থেকে আমির হোসেনের ব্যাপক অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গত ৬ বছর আগে তাকে তালাক দেয়।তাঁকে তালাক দিয়েও নিস্তার মেলেনি ফাতেমা খাতুনের। বর্তমানে ফাতেমা ও তার মা মাফিয়া খাতুনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। মেয়ে রাবেয়া খাতুনকে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আলোকিত প্রতিদিন/২২ ফেব্রুয়ারি-২৪/মওম