শহিদুল্লাহ সরকার:
সাভার উপজেলায় মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ জনজীবন। দিনের বেলায়ও অফিস কিংবা বাসাবাড়িতে মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। আর সন্ধ্যা হলেই মশার যন্ত্রণায় নাজেহাল এলাকাবাসী। কিন্তু মশা নিধনে প্রতি বছর বাজেট থাকলেও উপজেলা প্রশাসনের এ ব্যাপারে তেমন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। এলাকার একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মশার উপদ্রব ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মানুষের দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। কয়েল, স্প্রে বা মশারি টানিয়েও মশার উত্পাত থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মশারির বাইরে থাকার উপায় নেই। এতে করে কেউই স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারছেন না। সাভার উপজেলা শিল্পাঞ্চল হওয়ায় কলকারখানার দূষিত বর্জ্য, বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা নোংরা পানি এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় গোটা এলাকা মশার প্রজনন ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের মশা নিধনের বাজেট থাকা সত্যেও ফগার মেসিন দিয়ে স্পে না করায় মশার বিস্তার আরো বেড়েই চলছে। আর এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে সবাই। বিশেষ করে বড় ঝুঁকিতে শিশুরা। তাছাড়া মশার উত্পাতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায়ও চরম ব্যাঘাত ঘটছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, সারা দিন মশার উপদ্রব থাকলেও সন্ধ্যার পর পরই উৎপাত আরো ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে সন্ধ্যায় মশার কয়েল জ্বালিয়ে বা স্প্রে করে শিক্ষার্থীদের পড়তে বসতে হচ্ছে। এমনকি মশার উৎপাত নাজেহাল হয়ে মশারির ভেতর বসে তাদের লেখাপড়া করতে হচ্ছে। অনেকেই মশার কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ময়লা-আবর্জনার প্রতিনিয়ত মশার বংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রুত মশার বিস্তার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
আলোকিত প্রতিদিন/২২ ফেব্রুয়ারি-২৪/মওম