একেএম ফারুক হোসেন : গতকাল রাতে নোয়াখালীর চরজব্বার থানার চরআমানউল্ল্যাপুরে রফিকের পরিত্যক্ত ফ্যাক্টরির সামনে ডাকাতির উদ্দেশ্য সমবেত ডাকাতদের ধাওয়া দিয়ে ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় বাকী ৩ থেকে ৪ জন ডাকাত পালিয়ে যায়।
আটককৃত ডাকাতদের দেয়া তথ্য মতে, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র একটি পিক-আপে রক্ষিত সাদা ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে গ্রীল কাটার একটি মেশিন, দা, ছুরি, লোহার রড, পাইপ ও ৮০ ফুট দীর্ঘ একটি দড়িও রয়েছে।
পরে আটককৃত ডাকাতদের ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে চরজব্বার থানার পুলিশ। আটককৃত ডাকাতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
আটককৃত ৯ ডাকাতের পরিচয় প্রকাশ করে একটি প্রেস রিলিজ দেয় নোয়াখালী জেলা পুলিশ। সে সূত্রে জানা যায়, বেগমগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের মো. ইসমাইলের পুত্র মোসলে উদ্দিন (২৪), আলীপুরের মৃত মো. সেলিমের পুত্র মারুফ হোসেন হৃদয় ( ২২), মধ্যম নাজিমপুর বেগবাড়ি বাবুলের পুত্র শাহাদাত হোসেন সাগর ( ২৪), আলীপুরের মৃত অজি উল্যার পুত্র মো. সোহেল (২৫), অনন্তপুর টিভি সেন্টারের মোস্তফা কন্ট্রাকটরের বাড়ির শাহাব উদ্দিন স্বপনের পুত্র মো. মিঠু (২৪), একই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের পুত্র মো. রায়হান (২২), নাজিরপুর খান সাহেবের বাড়ির কামাল হোসেনের পুত্র মো. শিমুল (২২) ও অনন্তপুর গ্রামের মৃত আবুল কালামের পুত্র নাজমুল ইসলাম (২৫)।
গ্রেপ্তারকৃত সকল ডাকাতদের বাড়ি বেগমগঞ্জ উপজেলায় বলে রোববার চরজব্বর থানার পুলিশ সাংবাদিকদের জানায়। আটককৃত ডাকাতদের নামে বেগমগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বিপিএম, পিপিএম জানান, গতকাল রাতে চরজব্বর থেকে স্থানীয় এক সাংবাদিক ফোন করে তাঁকে বিষয়টি জানান। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে তাদের ধরতে পুলিশের একটি আভিযানিক দল তৈরি করে অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশ প্রদান করেন তিনি। পরে চরজব্বার থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ও তাঁর সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতদের আটক করতে সমর্থ হয়। এর আগে একই ডাকাতদল সেনবাগ ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়েও পুলিশের তৎপরতায় ডাকাতি করতে ব্যর্থ হয় বলে পুলিশ জানায়।
আলোকিত/25/02/2024/আকাশ
