আবু সায়েম:
বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমির হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে বন ও প্রকৃতি রক্ষা কার্যক্রমে আরো বেশি নিবিড়ভাবে সংযুক্ত হতে হবে। বন নির্ভর জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে অনেক সময়ই জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়ে। বন্যপ্রাণী ও মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে কমিউনিটি টহল দলগুলোকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। ৩ মার্চ রবিবার দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের কমিউনিটি টহল দল ও এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম সদস্যদের মাঝে পোষাক এবং এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম ও স্নেক রেসকিউ টিমের প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সাপ ধরার উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান বন সংরক্ষক আরো বলেন, বন ও পরিবেশ রক্ষায় কোডেক বনবিভাগের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। সিপিজি সদস্যদের বন পাহারা ও সচেতনতার কারণে গাছ পাচার কমেছে। সিএমসির আয় বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইকোট্যুরিজমের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নিতে হবে। প্রাকৃতিক গর্জন বাগানই হবে ইকো ট্যুরিজমের প্রধান আধার। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত, ইউএসএআইডি’র-নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্পের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সভায় কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সারওয়ার আলম- সভাপতিত্ব করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বিপুল কৃষ্ণ দাস, বন সংরক্ষক চট্টগ্রাম অঞ্চল বলেন,সিপিজি সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বন ও বনজ সম্পদ রক্ষায় তাদের ভূমিকা অপরিসীম। তাদের এ ত্যাগ এবং অবদান যেন অব্যাহত থাকে তিনি এ প্রত্যাশা করেন। ভবিষ্যতে সিপিজি সদস্যদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরো বেশি প্রশিক্ষিত করা হবে। আর এখানকার সিপিজি সদস্যরা সারা বাংলাদেশের সিপিজি সদস্যদের রোল মডেল। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার এবং টেকনফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম।
বনকর্মীদের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে সিপিজি সদস্যরা। পরে কমিউনিটি টহল গ্রুপের ( সিপিজি) ১৮টি দলের ৪১৫ জন সদস্যকে পোষাক, সাপ ধরার ৫টি দলের ১৩ জন প্রশিক্ষিত সদস্য ও এলিফ্যান্ড রেসপন্স টিম ৩ দলের ৩০ জন প্রশিক্ষিত সদস্যের মাঝে উপকরণ তুলেদেন প্রধান বন সংরক্ষক মো: আমির হোসেন চৌধুরী। এছাড়াও বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও নিরাপদ অবমুক্তকরনে বিশেষ অবদানের জন্য স্থানীয় একজনকে পুরষ্কৃত করা হয়। বিভিন্ন সময়ে সাপ মানুষের কাছাকাছি চলে আসে। আর সাপের নাম শুনলেই যেমন গা শিউরে ওঠে, তেমনি অনেকে লাঠি হাতে নেন মারার জন্য। এ ধরনের পরিস্থিতিতে তারা ওই সাপ উদ্ধার করেন বলে জানান তারা।অনুষ্ঠানে নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্প পরিচালক ড. শীতল কুমার নাথ, কোডেক উপ-নির্বাহী পরিচালক কমল সেনগুপ্ত, সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি ও সিপিজি সদস্যদের পক্ষে দেলোয়ার হোসেন, খুরশিদা বেগম ও খাইরুল বশর বক্তব্য রাখেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩ মার্চ-২৪ /মওম