আলোকিত ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথমটির কাজ চলছে। আমরা চেয়েছিলাম দক্ষিণবঙ্গে দ্বিতীয়টি করতে। কিন্তু সেখানকার মাটি অনেক নরম। সে কারণে পাবনাতেই করার পরিকল্পনা চলছে। প্রথমটির সঙ্গে এটার কাজও যাতে শুরু করতে পারি, সে ব্যাপারে আলোচনা চলছে। ১১ মার্চ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষক ও বিজ্ঞানীদের বিশেষ গবেষণায় অনুদানের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধ শাসকদের কাছে ক্ষমতা ছিল ভোগের বস্তু। বিএনপির আমলে সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান সংসদে বলেছিলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ভালো না। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে, বিদেশি খাদ্য সহায়তা পাওয়া যায় না। কিন্তু বর্তমান সরকার তা পাল্টে দিয়েছে। গবেষণায় জোর দিয়েছিলাম বলেই, বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণ করার ব্যবস্থাও হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষক-বিজ্ঞানীদের বিশেষ গবেষণা অনুদানের চেক ৫৪ জন গবেষকের হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ মালেক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেশের সকল বিভাগীয় শহরে নভোথিয়েটার স্থাপন করছি। প্রথমে ঢাকায় করেছি। নভোথিয়েটার করার জন্য খালেদা জিয়া দুটি মামলা দিয়েছিল। তখন আমি বলেছি, ভালো করে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে হবে। নভোথিয়েটার করার জন্য আমরা একনেকে যারা বসতাম সবাইকে একসঙ্গে মামলার আসামি করে। প্রায় এক ডজন মামলা দিয়েছিল। ২০০৭ সালে দিয়েছিল আরও ছয়টা। আমি বলেছি, সবগুলো তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের যা প্রয়োজন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সবই করে দিয়ে গিয়েছিলেন। ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করে তৃণমূলের মানুষের মধ্যে ক্ষমতা দিয়ে তিনি (বঙ্গবন্ধু) আর্থসামাজিক উন্নয়ন করতে চেয়েছিলেন। যখনই সেই পদক্ষেপ নিলেন, তখন এলো চরম আঘাত- ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট। জাতির জন্য একটি কলঙ্কময় অধ্যায়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ, একটা রিজার্ভ মানি নেই, কারেন্সি নোট নেই, যুদ্ধকালীন সময়ে কোনো ক্ষেতে ফসল হয়নি, যা কিছু ছিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনী সারা দেশ জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়। সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্যে তিন কোটি গৃহহারা, আর এক কোটি মানুষ ভারতের মাটিতে আশ্রয় নিয়েছিল। সেই অবস্থায় শূন্য হাতে দাঁড়িয়ে মাত্র তিন বছর সাত মাসের মধ্যে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা এলাকায় স্কুল, কলেজের সবগুলোর অবকাঠামো তৈরি করা, শিক্ষার ক্ষেত্রে বিনা পয়সায় বই দেওয়া, ছেলে-মেয়ে, শিক্ষকরা যাতে পোশাক পরতে পারেন সে ব্যবস্থাও তিনি করেছিলেন।
আলোকিত প্রতিদিন/১১ মার্চ-২৪ /মওম