মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র না মেনে সাতক্ষীরায় অবৈধভাবে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

0
454
মোঃ ইব্রাহিম খলিল 
সাতক্ষীরায় কোটি টাকা উৎকোচ বানিজ্যে অবৈধ পন্থায় দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়োগ বোর্ড বসানোর অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, গত ইং ১৬-০৭-২৩ “সেন্ট্রাল হাইস্কুল সুবর্ণবাদ” বিদ্যালয়ের ৬ পদে সাতক্ষীরার স্থানীয় দৈনিক দৃষ্টিপাত ও জাতীয় দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায়  নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। নাম প্রকাশ করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর উক্ত বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তরুন কান্তি সরকার এবং অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আসাদুল হক পরস্পর যোগসাজশে ৬ পদের বিপরীতে ৮৮ লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন। ছয় পদের মধ্যে প্রধান শিক্ষক পদে ২০ লক্ষ টাকা, সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ১৭ লক্ষ টাকা, অফিস সহায়ক পদে ১৫ লক্ষ টাকা, পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে ১২ লক্ষ টাকা, নৈশ প্রহরী পদে ১২ লক্ষ টাকা এবং আয়া পদে ১২ লক্ষ টাকা। এর আগে কৌশলে অত্র বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আসাদুল হক উক্ত নিয়োগ বোর্ডের পূর্বে অধিকাংশ আবেদনকারীদের নিকট থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে একাধিক সুত্র দাবি করেছে।  বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি লাভের আশায় বশিভূত হয়ে ডিজি প্রতিনিধি শ্যামনগর উপজেলা সদরে “নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়” এর প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান ও দেবহাটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদ কে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে “সেন্ট্রাল হাইস্কুল সুবর্ণবাদ” বিদ্যালয়ে নিয়োগ বোর্ড না বসিয়ে ভেন্যু পরিবর্তন করে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার অন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “বহেরা আজিজুল তছিমুদ্দীন (এ,টি) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে” গোপনে গত ইং ১৫ -০১-২৪ তারিখ সোমবার সকাল ১০টায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গোপনে একটি সাজানো পাতানো নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করা হয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ডিজি’র প্রতিনিধি “নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়” এর প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান। খোজ খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান এর এখনো সরকারি ভাবে তার প্রধান শিক্ষক পদ স্থায়ী করন হয়নি। অভিযোগ আছে, ছুটির দিনে নিয়োগ বোর্ড বসানোর নির্দেশনা থাকলেও তা ভঙ্গ করে তিনি বিদ্যালয়ের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্কুল চলাকালীন সময়  নিয়োগ বোর্ড বসাচ্ছেন যা পরিপত্রের বিধিবহির্ভূত কাজ। ১৫ জানুয়ারি সোমবার ছুটির দিন না থাকলেও নিজ ক্ষমতা বলে তিনি বিদ্যালয়ের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে গোপনে “সেন্ট্রাল হাইস্কুল সুবর্ণবাদ” এর নিয়োগ বোর্ড শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করে বহেরা আজিজুল তছিমুদ্দীন (এ,টি) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বোর্ড বসান। নীতিমালা অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক,কর্মচারী নিয়োগে ডিজি’র প্রতিনিধি মনোনয়ন এর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সরকারি বালক/বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা সিনিয়ারিটি বা জৈষ্ঠতার ভিত্তিতে ডিজি’র প্রতিনিধি মনোনয়ন পাবেন। পরিপত্রের নিয়ম অনুযায়ী ডিজি’র প্রতিনিধি মনোনয়নে জৈষ্ঠতার ভিত্তিতে সরকারি বালক/বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের অগ্রাধিকার বেশি। কিন্ত সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপি অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় দেখা যাচ্ছে ডিজি’র প্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন পাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক,  জুনিয়র শিক্ষক এ ছাড়া যাদের এখনো প্রধান শিক্ষক পদে সরকারি ভাবে স্থায়ী করন হয়নি তারা ডিজি’র প্রতিনিধি হিসেবে বেশি প্রধান্য এবং  মনোনয়ন পেয়েছেন। ডিজি’র প্রতিনিধি মনোনয়নে প্রতিনিয়ত সাতক্ষীরায় জৈষ্ঠতা লঙ্ঘন হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন সিনিয়র অনেক শিক্ষকরা। পরিপত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী শুন্য পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য বহুল প্রচারিত ২ টি দৈনিক  একটি জাতীয় এবং একটি স্থানীয় পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট  প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি ব্যাপক প্রচার করতে হবে। বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো এবং এমপিও নীতিমালা “২০২১” এর সর্বশেষ পরিমার্জন অনুযায়ী শুন্যপদের ধরন এমপিও নাকি নন এমপিও পদ, সংখ্যা, আবেদন ফি,প্রত্যেক পদের ক্ষেত্রে নিয়োগ যোগ্যতার আবশ্যকীয় শর্তাবলী, বেতন গ্রেড, আবেদন দাখিলের নিয়ম সহ আবেদন দাখিলের সর্বশেষ তারিখ ও সময় উল্লেখ করতে হবে। কিন্তু এখানেও মানা হয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারীকৃত বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে (১) সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং/গভর্নিং বডির সভাপতি (২) মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি (৩) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি  (৪) জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি (৫) সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান অথবা ভারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান প্রধান গন দের উপস্তিতিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিধিমোতাবেগ সম্পন্ন করতে হবে। দেবহাটা উপজেলার “সেন্ট্রাল হাইস্কুল সুবর্ণবাদ” বিদ্যালয়ের ৬ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ছাড়াই তড়িঘড়ি করে গোপনে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাতানো নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে এ দাবি করেন স্থানীয়রা। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের পরিপত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী যে প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ সেই প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু এখানেও মানা হয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারীকৃত নতুন পরিপত্রের নীতিমালা। যা ১০-০১-২৪ ইং তারিখ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন জারীকৃত পরিপত্রের বিধিবহির্ভূত কাজ। এ বিষয় দেবহাটা উপজেলার “সেন্ট্রাল হাইস্কুল সুবর্ণবাদ” বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তরুন কান্তি সরকার মুঠো ফোনে আলাপকালে নিয়োগ বোর্ডের পূর্বে ৬ পদের বিপরীতে ৮৮ লক্ষ টাকা নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। গত ১৫ জানুয়ারি  নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বোর্ড বসানোর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন এমনিতেই। পত্রিকায় নতুন বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে জেলা প্রশাসকের একজন প্রতিনিধি ছাড়াই গোপনে নিয়োগ বোর্ড বসানো এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারীকৃত নতুন পরিপত্রের নির্দেশনা উপেক্ষা করে নিয়োগ বোর্ড বসানোর কতটুকু বৈধতা আছে জানতে চাইলে তিনি প্রশ্নবিদ্ধ হন। এ বিষয় সেন্ট্রাল হাইস্কুল সুবর্ণবাদ এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আসাদুল হক এর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয় ডিজি’র প্রতিনিধি আব্দুল মান্নান ১৫ জানুয়ারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করে বহেরা আজিজুল তছিমুদ্দীন (এ,টি) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বোর্ড বসানোর ব্যাপারে সত্যতা স্বীকার করেন। এ বিষয় দেবহাটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদ মুঠোফোনে আলাপকালে গত ১৫ জানুয়ারি “সেন্ট্রাল হাইস্কুল সুবর্ণবাদ” বিদ্যালয়ের ৬ পদে নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন ঐ দিন আমি উপস্থিত ছিলাম। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে কোন প্রতিনিধি ছিল কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন ছিলো না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র উপেক্ষা করে নিয়োগ বোর্ড বসানো কতটুকু যুক্তিসঙ্গত এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের সভাপতি ভালো বলতে পারবেন। এদিকে একই অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা তালা উপজেলার “মহন্দী প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়” এ সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পদে। স্থানীয়রা অভিযোগ তুলে বলেন, তালা মহন্দী প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীহার রঞ্জন বিশ্বাস ও অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রনব ঘোষ বাবলু পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর উভয় পরস্পর যোগসাজশে নিয়োগ বোর্ডের পূর্বে একজন প্রার্থী মনোনীত করে তার নিকট থেকে ১২ লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন। জানা গেছে, ডিজি’র প্রতিনিধি তালা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অলোক কুমার তরফদার এবং তালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফিরোজ আহমেদ কে ম্যানেজ করার মাধ্যমে বিধিবহির্ভূত ভাবে ১৫-০১-২৪ তারিখ পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি সাজানো পাতানো নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করা হয়। ১০ই জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন জারীকৃত পরিপত্র উপেক্ষা করে খামখেয়ালি ভাবে সাজানো পাতানো নিয়োগ বোর্ড বসানোর মতো জঘন্য অপরাধ মূলক কাজে লিপ্ত হন। উল্লেখিত বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের একজন প্রতিনিধি ছাড়াই গোপনে সাজানো পাতানো নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী বিধিবহির্ভূত কাজ। এ ছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারীকৃত নতুন পরিপত্রের নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগের ক্ষেত্রে জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় উল্লেখিত নির্দেশনা অনুযায়ী  নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কথা থাকলেও তা অমান্য  করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি। উল্লেখ্য গত ইংরেজি ১০-০১-২৪ তারিখ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল এন্ড কলেজ, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, ডিগ্রী স্নাতক কলেজের কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন এ পরিপত্র জারী করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে শিক্ষা বোর্ড এবং শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিপত্র উপেক্ষা করে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ছুটির দিন ব্যাতিরেখে বিদ্যালয় চলাকালীন এমনকি অফিস চলাকালীন সময় এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষক, সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, ডিজি’র প্রতিনিধিরা পকেটে টাকা ঢোকানোর নেশায় বেপরোয়া হয়ে অবৈধ পন্থায় পাতানো নিয়োগ বোর্ড কার্যক্রম সম্পন্ন করছেন। এ বিষয় তালা “মহন্দী প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়” এর প্রধান শিক্ষক নীহার রঞ্জন বিশ্বাস মুঠোফোনে আলাপকালে নিয়োগ বোর্ডের পূর্বে একজন প্রার্থী মনোনীত করে উৎকোচ বানিজ্যের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন। ১৫ জানুয়ারি নিয়োগ বোর্ডে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি ছিলেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রতিনিধি ছিলেন না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী নিয়োগ বোর্ড হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি তড়িঘড়ি করে আলাপ কলটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এ বিষয় তালা “মহন্দী প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়” এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রনব ঘোষ বাবলু মুঠোফোনে আলাপকালে বলেন, কোন দূর্নীতি হয়নি নিয়ম মেনে নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয় ডিজি’র প্রতিনিধি অলোক কুমার তরফদার এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার আলাপের চেষ্টা কালে আলাপ কলটি গ্রহণ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয় তালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সেখ ফিরোজ আহমেদ বলেন, বিধিমোতাবেক নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয় সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার শাহাজাহান কবির মুঠো ফোনে আলাপকালে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারীকৃত নতুন পরিপত্রের নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন না হলে সে নিয়োগ অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। তিনি আরও বলেন, যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের নিয়ম না মেনে নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করেছেন তাদেরকে পূনরায় পত্রিকায় নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার মাধ্যমে বিধিমোতাবেক সকল নিয়ম মেনে ও নিয়োগ কমিটির উপস্তিতিতে নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করতে হবে। এ বিষয় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির মুঠো ফোনে আলাপকালে বলেন, যে সমস্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারীকৃত নতুন পরিপত্রের নীতিমালা উপেক্ষা করে গোপনে নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয় খুলনা বিভাগের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এর উপপরিচালক খোন্দকার রুহুল আমিন এর সাথে মুঠোফোনে অফিসের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার আলাপের চেষ্টা কালে আলাপ কলটির সংযোগ বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
লোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here