শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশের

0
230
শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশের

ক্রীড়া ডেস্ক:

লক্ষ্য খুব বড় ছিল না, ২৩৬ রানের। কনকাশন বদলি হিসেবে নেমে তানজিদ হাসান তামিম খেলে দিলেন ৮১ বলে ৮৪ রানের মারকুটে ইনিংস। তারপরও সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে হারের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ১৩০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধুঁকছিল টাইগাররা। সেখান থেকে মুশফিকুর রহিম আর মেহেদী হাসান মিরাজের জুটি। কিন্তু মিরাজ আউট হওয়ার পর আবারও শঙ্কা। সেই শঙ্কা কেটে গেলো রিশাদ হোসেনের শেষ সময়ের টর্নেডো এক ইনিংসে। নতুন স্পেলে বল করতে নেমে প্রথম ডেলিভারিতে মেহেদী হাসান মিরাজকে আউট করেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে তার ৪৮ রানের জুটি ভেঙে যায়। ৪০ বলে ৩ চারে ২৫ রান করে মিরাজ ক্যাচ দেন প্রমোদ মাদুশানকে। ১৭৮ রানে বাংলাদেশ হারায় ৬ উইকেট। একই ওভারে হাসারাঙ্গাকে দুটি ছয় ও চার মেরে ওই ধাক্কা কাটিয়ে তোলেন রিশাদ হোসেন। ৩৭ ওভারের খেলা শেষে ৬ উইকেটে স্বাগতিকদের রান ১৯৪। সেট ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম বাংলাদেশকে ভালো একটা অবস্থানে রেখে বিদায় নিয়েছেন। তারপর মেহেদী হাসান মিরাজ এবং মুশফিকুর রহিম ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে হাল ধরেছেন। তাদের ব্যাটে চড়ে জয়ের স্বপ্ন দেখছে স্বাগতিকরা। ৩২ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৮ রান বাংলাদেশের। দারুণ এক ইনিংস খেললেন তানজিদ হাসান তামিম। সেঞ্চুরির বেশ কাছে ছিলেন। তবে ২৬তম ওভারে তার ইনিংসের সমাপ্তি হলো। ৮১ বলে ৯ চার ও ৪ ছয়ে ৮৪ রানে চারিথ আসালাঙ্কার হাতে ক্যাচ দেন। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে আউট হন তানজিদ। দলীয় ১৩০ রানে ৫ উইকেট হারালো বাংলাদেশ। আবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে মাঠ ছাড়লেন মাহমুদউল্লাহ। মাত্র ১ রান করে লাহিরু কুমারার চতুর্থ শিকার হলেন তিনি। বাংলাদেশের এই ব্যাটারকে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে নিজের সেরা বোলিং ফিগার গড়লেন লঙ্কান পেসার। ২৪তম ওভারের প্রথম বলে মাহমুদউল্লাহকে কুশল মেন্ডিসের ক্যাচ বানান লাহিরু। দলীয় ১১৩ রানে চার উইকেট পড়লো বাংলাদেশের। তাওহীদ হৃদয় বেশিদূর যেতে পারলেন না। আউট হলেন ৩৬ বলে ২২ রান করে। লাহিরু কুমারার বলে দলীয় ১০৫ রানে থামলেন তিনি। তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৪৯ রানের। ২২তম ওভারের চতুর্থ বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারে প্রমোদ মাদুশানের ক্যাচ হন তিনি। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অপরাজিত ৯৬ রান করেছিলেন হৃদয়। ১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি করেন তানজিদ। ৫১ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার পঞ্চাশ ছুঁলেন তিনি। ১৭ ওভারে ২ উইকেটে ৭৯ রান বাংলাদেশের। হাফ সেঞ্চুরির পর তানজিদের ব্যাটে রান কমে গিয়েছিল। ১৯তম ওভারে দুটি চার মেরে রান বাড়িয়ে নেন তিনি। একই ওভারে সহন আরাচিগের হাত গলে জীবন পান তানজিদ, তখন তার রান ছিল ৬০। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৫৬ রান করে বাংলাদেশ। ১১তম ওভারে তারা হারালো আরেকটি উইকেট। লাহিরু কুমারা পেয়ে গেলেন তার দ্বিতীয় শিকার। নাজমুল হোসেন শান্ত ৫ বলে মাত্র ১ রান করে কুশল মেন্ডিসের গ্লাভসে ধরা পড়েন।৫৬ রানে বাংলাদেশ হারালো ২ উইকেট। সৌম্য সরকার চোটের কারণে ছিটকে গেছেন। তার বদলে কনকাশন সাব হয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন তানজিদ হাসান সাকিব। চতুর্থ ওভারে প্রমোদ মাদুশানকে দুটি চার ও এক ছয় মেরে দারুণ শুরু এনে দিয়েছেন তিনি। ওই ওভারে ১৫ রান তোলে বাংলাদেশ। ৪ ওভার শেষে কোনও উইকেট না হারিয়ে ২৪ রান করেছে বাংলাদেশ।

সিরিজ জিততে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৩৬ রান জানিথ লিয়ানাগে শেষ ওভারের তৃতীয় বলে চার মারলেন। তাতে করে ১০১ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটার। লিয়ানাগের কারণেই বাংলাদেশের দারুণ শুরু মাটি হয়ে গেছে। ২৩৫ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। সিরিজ জিততে বাংলাদেশ অল্প রানের লক্ষ্য পেলেও উইকেটের অবস্থা বলছে, বেশ ভুগতে হবে পরে ব্যাট করা দলকে। ৭৪ রানে চার উইকেট পড়ার পর লিয়ানাগে ব্যাট হাতে ক্রিজে নামেন। একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে টেনে তোলেন তিনি। পঞ্চম উইকেটে চারিথ আসালাঙ্কার সঙ্গে লিয়ানাগের ৪৩ রানের জুটি প্রতিরোধ গড়েছিল। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান লিয়ানাগে। শেষ ওভারে সেটাকে প্রথম সেঞ্চুরিতে রূপ দেন ১০১ বল খেলে।মাহিশ ঠিকশানার সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ৬০ রানের সর্বোচ্চ জুটি গড়েন লিয়ানাগে। ১০২ বলে ১১ চার ও ২ ছয়ে ১০১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। শেষ ওভারে প্রমোদ মাদুশান এনামুল হকের ক্যাচ হন এবং শেষ বলে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হন লাহিরু কুমারা। ২৩৫ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা।

সবচেয়ে বেশি তিন উইকেট নেন তাসকিন। দুটি পান মোস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের শেষ দিকে ক্র্যাম্প নিয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি পেসার। ফিল্ডিংয়ে এনামুলের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন বদলি ফিল্ডার জাকের আলী অনিক। চার আটকাতে গিয়ে বিলবোর্ডের সঙ্গে সৌম্য সরকারের পায়ে আঘাত লাগে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে তাকে। এনামুলও চোট পেয়ে কিছুক্ষণের জন্য মাঠের বাইরে যান। এককথায়, ফিল্ডিংয়ে বেশ হতাশা নিয়ে দিন কেটেছে বাংলাদেশের। চোট পাওয়া মোস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় এসেই শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ রানের জুটি ভাঙলেন সৌম্য সরকার। ৪৮তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন মোস্তাফিজ। প্রথম বলটি ওয়াইড দেন, ক্র্যাম্পের কারণে আর বল করতে পারেননি। স্ট্রেচারে করে তাকে নেওয়া হয় মাঠের বাইরে। অসমাপ্ত ওভারে বল করতে নামেন সৌম্য। ডিপ মিডউইকেটে ঠিকশানা ক্যাচ দেন বদলি ফিল্ডার তানজিম হাসান সাকিবকে। ভেঙে যায় ৬০ রানের জুটি। ২১৫ রানে ৮ উইকেট নেই শ্রীলঙ্কার। ৪৮ ওভারে ৮ উইকেটে ২১৮ রান তাদের। ৪৬তম ওভারে তাসকিন আহমেদকে চার মারলেন জানিথ লিয়ানাগে। মাহিশ ঠিকশানার সঙ্গে তার জুটি পঞ্চাশ ছাড়ালো। তার আগের বলেই শ্রীলঙ্কার দলীয় স্কোর দুইশতে পৌঁছায় লিয়ানাগের ডাবলসে। ৪৬ ওভারে ৭ উইকেটে ২০৫ রান লঙ্কানদের। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি করলেন জানিথ লিয়ানাগে। একপ্রান্ত আগলে রেখে ৬৫ বলে ফিফটি ছোঁন তিনি। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে চারিথ আসালাঙ্কার সঙ্গে তার ৪৩ রানের জুটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। দুনিথ ভেল্লালাগের পর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানালেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩৫তম ওভারের প্রথম বলে লঙ্কান ব্যাটারকে বোল্ড করেন তিনি। বাংলাদেশি অফস্পিনারের বলে ১৫৪ রানে ৭ উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা। ৮ বলে ১১ রান করেন হাসারাঙ্গা। চট্টগ্রামের উইকেটে রান করা শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে। রানে গতি নেই একদমই, উইকেটও পড়ছে নিয়মিত বিরতিতে। ৩১তম ওভারের শেষ বলে মেহেদী হাসান মিরাজ ফেরালেন দুনিথ ভেল্লালাগেকে। ১৯ রানের জুটি গড়েন তিনি জানিথ লিয়ানাগের সঙ্গে। ১৬তম বলে রানের খাতা খোলার দুই বল পর মাঠ ছাড়েন ভেল্লালাগে। দলীয় ১৩৬ রানে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়েছে।

জাতীয় দলে ফিরে দুই উইকেট নেন মোস্তাফিজচারিথ আসালাঙ্কা হাফ সেঞ্চুরি করার আভাস দিচ্ছিলেন। কিন্তু মোস্তাফিজুর রহমান তাকে ব্যর্থ করলেন। ২৫তম ওভারের শেষ বলে লঙ্কান ব্যাটারকে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান। ৪৬ বলে ৫ চারে ৩৭ রানে থামেন আসালাঙ্কা। জানিথ লিয়ানাগের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৪৩ রানের, যা এখন পর্যন্ত ইনিংস সর্বোচ্চ। ১১৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা। ২৬ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১২৫ রান।

লেগ স্পিন নিয়ে হাহাকার দূর করতে রিশাদ হোসেনের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ। এই লেগ স্পিনার যে অনেক দূরে যাবেন, সেই আশা অনেকের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে তিনি আস্থার প্রতিদান দিলেন শুরুতেই। ১৮তম ওভারে বল হাতে নিয়েই কুশল মেন্ডিসকে ২৯ রানে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান। চারিথ আসালাঙ্কার সঙ্গে অধিনায়ক ৩৩ রানের জুটি গড়েছিলেন। ৭৪ রানে ৩ উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা। ১৮ ওভারের খেলা শেষে তাদের রান ৪ উইকেটে ৮০। একাদশে ফিরে সাফল্য পেতে বেশি সময় লাগলো না মোস্তাফিজুর রহমানের। ১১তম ওভারে বল হাতে নিয়ে কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমার সেট জুটি ভেঙে দেন তিনি।সাদিরার ব্যাটে ইনসাইড এজ হয়ে বল মুশফিকুর রহিমের হাতে চলে যায়। ১৫ বলে ২ চারে ১৪ রান করেন লঙ্কান ব্যাটার। ৪১ রানে তৃতীয় উইকেট নিলো বাংলাদেশ। ১১ ওভারে ৩ উইকেটে ৪৩ রান শ্রীলঙ্কার। পাওয়ার প্লেতে দুর্দান্ত বোলিং করলো বাংলাদেশ। ১০ ওভারে ২ উইকেট নিয়ে ৩৯ রান দিয়েছে তারা। শ্রীলঙ্কার দুই উইকেটই পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ।  দ্বিতীয় ও চতুর্থ ওভারে পাথুম নিসাঙ্কা ও আভিষ্কা ফার্নান্ডোকে আউট করেন তাসকিন। ১৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা প্রতিরোধ গড়েন। তবে তাসকিন ও শরিফুল ইসলামের বলে দুজনের কেউই সুবিধা করতে পারেননি। তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার হলেন আভিষ্কা ফার্নান্ডো। চতুর্থ ওভারে বাংলাদেশি বোলারের বল তার ব্যাট ছুঁয়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে জমা হয়। মাত্র ৪ রান করেন লঙ্কান ওপেনার। ৩.৫ ওভারে ১৫ রানে ২ উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা। টসে হেরে বোলিংয়ে শুরুটা যথারীতি ভালো হয়েছে। আগের ওয়ানডেতে সেরা পারফর্ম করা পাথুম নিসাঙ্কাকে এলবিডব্লিউ করেছেন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নেন ডানহাতি পেসার। তৃতীয় বলে উইকেট পান তিনি। ১ রানে প্রথম উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা। ৮ বল খেলে ১ রান করেন শ্রীলঙ্কার ওপেনার।

বাংলাদেশের একাদশে বড় রকমের পরিবর্তন এসেছে। লিটন দাস বাদ পড়ায় ওপেনিংয়ে খেলবে এনামুল হক বিজয়। তানজিম হাসান সাকিবের ইনজুরিতে জায়গা মিলেছে মোস্তাফিজুর রহমানের। আর রিশাদ হোসেন খেলবেন তাইজুল ইসলামের বদলে। বাংলাদেশ (একাদশ): সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয়, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।

শ্রীলঙ্কা (একাদশ): পাথুম নিসাঙ্কা, আভিষ্কা ফার্নান্ডো, কুশল মেন্ডিস (উইকেটকিপার অধিনায়ক), সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা, জানিথ লিয়ানাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দুনিথ ভেল্লালাগে, মাহিশ ঠিকশানা, প্রমোদ মাদুশান, লাহিরু কুমারা।

১৩০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর মুশফিক-মিরাজ ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ৬২ বলে ৪৮ রানের জুটি। ৪০ বলে ২৫ করে আউট হন মিরাজ। মুশফিকের সঙ্গে তখন বলতে গেলে স্বীকৃত ব্যাটার আর কেউ নেই। শঙ্কা তাই তৈরি হয়েছিল। কিন্তু রিশাদ আরও একবার ব্যাট হাতে চমক দেখান। মাঠে নেমেই চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটাতে থাকেন ডানহাতি এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ১৮ বলে ৪৮ রানের ইনিংসে ৫টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা হাঁকান এই লেগস্পিনার। ৩৬ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। ২৩৬ রানের লক্ষ্য বেশ সহজই। রয়ে সয়ে খেলতে পারলে অনায়াসেই জয় তুলে নেয়া সম্ভব।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২৩৫/১০ (জানিথ লিয়ানাগে ১০১*, চারিথ আসালাঙ্কা ৩৭, কুশল মেন্ডিস ২৯; তাসকিন আহমেদ ৩/৪২, মোস্তাফিজুর রহমান ২/৩৯, মেহেদি হাসান মিরাজ ২/৩৮, রিশাদ হোসেন ১/৫১)

বাংলাদেশ: ৪০.২ ওভারে ২৩৭/৬ (তানজিদ হাসান তামিম ৮৪, তাওহিদ হৃদয় ২২, মেহেদী হাসান মিরাজ ২৫, মুশফিকুর রহিম ৩৭*, রিশাদ হোসেন ৪৮*; লাহিরু কুমারা ৪/৪৮)

ফল: বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: রিশাদ হোসেন (বাংলাদেশ)।

আলোকিত প্রতিদিন/১৮ মার্চ-২৪ /মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here