উপজেলা নির্বাচন: চেয়ারম্যান পদে জামানত বাড়লো ১০ গুণ

0
266
উপজেলা নির্বাচন: চেয়ারম্যান পদে জামানত বাড়লো ১০ গুণ
উপজেলা নির্বাচন: চেয়ারম্যান পদে জামানত বাড়লো ১০ গুণ

আলোকিত ডেস্ক:

জামানতের অংক বাড়ানোসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংশোধনী নিয়ে ‘উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০২৪’ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ১ লাখ টাকা জামানত দিতে হবে, আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত দিতে হবে ৭৫ হাজার টাকা। আগে উভয়পদে জামানত ছিল ১০ হাজার টাকা। ১৯ মার্চ মঙ্গলবার এ বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন বিধিমালায় ‘নির্বাচনি সময়েরও’ সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত নির্বাচনি সময় বলতে তফসিল ঘোষণা পর থেকে গেজেট প্রকাশের পর ১৫ দিন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে এতে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। নতুন নির্বাচনি বিধিমালা অনুযায়ী, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণক জমা দিতে হবে, উল্লেখ করতে হবে টিআইএন নম্বর। আগের বিধিমালায় নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের একভাগের কম পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হতো। এক্ষেত্রে প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশের কম পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হতো। সংশোধিত বিধিমালা এটি সংশোধন করে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশের কম পেলে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। আগের আইনে ১ লাখ ভোটারের জন্য প্রার্থী ব্যক্তিগত ও নির্বাচনি ব্যয় করতে পারেন সাড়ে ৫ লাখ টাকা, ১ লাখ এক থেকে ২ লাখ ভোটারের জন্য ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও ২ লাখের বেশি ভোটার সম্বলিত উপজেলার জন্য ১১ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারেন। নতুন বিধিমালায় চেয়ারম্যান বা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনি ব্যয় বাবদ অনধিক ২৫ লাখ টাকা এবং ‘মহিলা সদস্য’ পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনি ব্যয় বাবদ অনধিক ১ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। আগে ভোটগ্রহণের তিন সপ্তাহ আগে থেকে প্রার্থীরা প্রচারণায় অংশ নিতে পারতেন। এবার তা সংশোধন করে প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকে প্রচারণা শুরুর কথা বলা হয়েছে। প্রচার-প্রচারণার আওতায় এবার ডিজিটাল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও সন্নিবেশ করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার বিধানও শিথিল করেছে ইসি। এতদিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে ২৫০ ভোটারের সমর্থনসূচক সই মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হতো। এটি এখন একেবারেই তুলে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ভোটারদের সমর্থনসূচক সই লাগবে না। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, প্রার্থীরা সাদাকালোর পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ও ব্যানার করতে পারবেন। এছাড়া নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও পুনরায় ভোটের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে ইসির ক্ষমতা স্পষ্ট করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী মে মাসে চার ধাপে ৪৮১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করবে ইসি। প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ আগামী ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ২৫ মে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যে জানিয়েছে, তারা এবার স্থানীয় সরকারের কোনও নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেবে না।  ফলে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে।

আলোকিত প্রতিদিন/২০ মার্চ-২৪ /মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here