বনবিভাগের অভিযানে অবৈধভাবে কাঠ পরিবহনের কাজে নিয়োজিত হাতি আটকঃ ৬০০ ঘনফুট কাঠ জব্দ 

0
197
বনবিভাগের অভিযানে অবৈধভাবে কাঠ পরিবহনের কাজে নিয়োজিত হাতি আটকঃ ৬০০ ঘনফুট কাঠ জব্দ 
বনবিভাগের অভিযানে অবৈধভাবে কাঠ পরিবহনের কাজে নিয়োজিত হাতি আটকঃ ৬০০ ঘনফুট কাঠ জব্দ 
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বনবিভাগের অভিযানে অবৈধভাবে কাঠ পরিবহনের কাজে নিয়োজিত পোষা হাতি আটক করা হয়েছে। এসময় ৬০০ ঘনফুট অবৈধ কাঠ জব্দ করা হয়। ২৩ মার্চ শনিবার  বান্দরবানের দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাতি ও অবৈধ কাঠ জব্দ করা হয়। বান্দরবান জেলার সরই ইউনিয়নের লেমুপালং এলাকার পালং খাল ও শীল ঝিরির মোহনা থেকে এসব অবৈধ কাঠ জব্দের পাশাপাশি হাতি আটক করা হয়। আটককৃত হাতিটি সিলেট জেলার মোমিন কোম্পানির বলে জানা গেছে। বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার সরই ও গজালিয়া -এ দুই ইউনিয়নের মঝামাঝি লেলুপালং এলাকার পাহাড়ে শ্রমিক লাগিয়ে বড় বড় আকারের গাছ কেটে হাতি দিয়ে পরিবহনের পর লোকালয়ে নিয়ে অবৈধভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে আসছেন মোরশেদ আলম চৌধুরী ও তার ম্যানেজার মো. রফিক নামের দুই ব্যক্তি। স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক বেলালের নির্দেশনায় লামা সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম আতা এলাহি ও ডলুছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম রেজাউল ইসলামের নেতৃত্বে সঙ্গীয় সদস্যরা শনিবার সকাল থেকে দুপুরে পর্যন্ত লেমুপালং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় অবৈধভাবে কাঠ পরিবহন কাজে ব্যবহৃত মাহুত সহ একটি হাতি আটক ও গর্জন, শিউলী, লালীসহ বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ জব্দ করেন বন বিভাগের  কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে লামা  সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম আতা এলাহী  বলেন, অবৈধভাবে হাতি দিয়ে গাছ পরিবহরের খবর পেয়ে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একটানা বন বিভাগের দুইটি টিম লেমুপালং মৌজায় অভিযান চালিয়ে মাহুত সহ হাতি ও কাঠ জব্দ করেছি। ওই এলাকায় কাঠ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত আর কোন পোষা হাতির সন্ধান পাওয়া যায়নি। আটক হাতি শনিবার দিনগত রাতেই কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলাস্থ বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ও আটক হাতির মাহুতকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। অভিযানে কাঠ জব্দ সহ মাহুত ও হাতি আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরিফুল হক বেলাল জানান, অবৈধভাবে কাঠ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত পোষা হাতির মালিকের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর অধীনে ও কাঠ পাচার কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে ফরেস্ট ট্রানজিট রুল্স ১৯৭৩ এর অধীনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। অবৈধভাবে কাঠ পাচার রোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
আলোকিত প্রতিদিন/২৪ মার্চ-২৪ /মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here