আলোকিত ডেস্ক:
পুরান ঢাকার স্বামীবাগ এলাকায় জন্মগ্রহণ করেছেন নাঈমুল হক হৃদয়। তিনি স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ থেকে তাঁর আইন বিষয়ে স্নাতক শেষ করেন। কিন্তু আইনজীবী পেশায় নিজেকে যুক্ত না করে, সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ড নিয়োজিত হন। তিনি তার জীবনে সত্যিকার লক্ষ্য সঙ্গীত ও শিল্পের মধ্যে খুঁজে পেয়েছিলেন।
নাইমুল হক হৃদয়ের শিল্প ও সঙ্গীতের যাত্রা শুরু হয়েছিল জাগো আর্ট সেন্টারের মাধ্যমে। তিনি ছোটবেলায় গান এবং ছবি আঁকার খুবই পারদর্শী ছিল। এখান থেকেই তার হাতে খড়ি।
কর্মজীবনের শুরুতে ২০১১ সালে তিনি বেণুকা ললিতকলা কেন্দ্রের সহকারী প্রশিক্ষক পদে কাজ হন। পরবর্তীতে, তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে কিছু দিন কাজ করেন।
কিন্তু ২০১৭ সালে যখন তিনি সানশাইন লার্নিং সেন্টারের হেড অব ফাইন আর্টস পদে কাজ করার সুযোগ পান তখন তিনি বুঝতে পারে যে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য আর্ট এবং মিউজিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই আর্ট এবং মিউজিকে বাচ্চাদের স্কিল ডেভেলপমেন্টেই শুধু সাহায্য করে না, এই আর্ট এবং মিউজিক থেরাপি হিসেবে বাচ্চাদেরকে যোগাযোগ, আত্মবিশ্বাস, মানসিক প্রশান্তি দিয়ে থাকে। যারা ভবিষ্যতে এই শিশুদের জন্য খুবই উপকারী।
তিনি বিশেষ চাহিদা সম্পূর্ণ শিশুদের জন্য একটি ফাইন আর্টস্ একাডেমি শুরু করার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিচ্ছেন। যেখানে শিশুরা মিউজিক, ছবি আঁকা, নৃত্য এবং আরো সৃজনশীল কাজ করতে পারবে। এবং একই সাথে শিশুদের একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ উপভোগ করতে পারবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৭ মার্চ ২০২৪