মোঃ জহির উদ্দিন বাবর:
অনিয়ম দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতায় পরিণত হয়েছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা ভূমি অফিসে। অফিসটিতে টাকা ছাড়া কোনো ধরনের কাজ হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। টাকা না দিলে মাসের পর মাস নড়ে না কোনো ফাইলপত্র। এছাড়াও প্রকাশ্যে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে অফিস সহকারী মোছাঃ শাহানাজ আক্তারের বিরুদ্ধে।
চট্টগ্রাম কর্ণফুলী সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসের অফিস সহকারী শাহানাজ আক্তার বিভিন্ন জায়গা নামজারীর কথা বলে হাতিয়ে নিতেন বিপুল পরিমান অর্থ।কারো কাছে ১৫ হাজার কারো কাছে ২০ হাজার এরপর মাসের পর মাস কাটিয়ে দেন তিনি। এ যেন চোরের মায়ের বড় গলা। ভুক্তভোগী আবু হানিফ আলোকিত প্রতিদিনকে বলেন , নামজারির কথা বলে ৮ মাস আগে শাহানাজ আক্তারকে টাকা দিলে কয়েকদিন পর আসার কথা বললেও আজ কাল করে হয়রানি করেছে। টাকা ফেরত চাইলে দেওয়া হয় হুমকি।
আরেক ভুক্তভোগী কামাল উদ্দিন বলেন, নামজারি করাতে ২৫ হাজার টাকা ঠিক করা হয়। ১ম পর্যায়ে হাতে ১০ হাজার টাকা দেয় তিনি। এরপর বিকাশে ৫০০০ হাজার টাকা নেন। চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিলেও কোন কাজ করেনি শাহানাজ আক্তার। খোজ নিয়ে জানা যায় ১০০ টাকা দিয়ে শুধু ফাইল জমা করেন তিনি। কামাল উদ্দিন ৫ মাস ধরে টাকা ফেরত চাইলেও ফেরত দেয়নি টাকা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ টাকা চাইতে গেলে তাদেরকে বিভিন্ন রকম হুমকি প্রদান করেন তিনি। এই ব্যাপারে শাহনাজ আক্তারের সাথে কথা বলতে চায় দৈনিক অলোকিত প্রতিদিনের । সাংবাদিকরা কথা বলতে গেলে সাংবাদিকদের বিভিন্ন গালমন্দ এবং তাদেরকে দেখিয়ে নেওয়ার হুমকি দেন শাহানাজ আক্তার। অভিযোগ রয়েছে তার পুরান চাদগাঁও ফাটান্নে গোদায় কোটি টাকার জমির প্লট রয়েছে। সাদ মুছা গার্মেন্টসের মালিক মহসিনের গাড়িও ব্যবহার করতে দেখা যায় তাকে। তার কথায় উঠে বসে এমন কথাও বলেন শাহানাজ আক্তার।
এবার গভীর অনুসন্ধানে যেতে চাই আমরা,শাহানাজ আক্তারের বাড়ি বাঁশখালির বাহার ছড়া ইউনিয়নে। সেখানে প্রতিবেশিদের সাথে কথা বললে বেড়িয়ে আসে ভিন্ন তথ্য। এইযেন কেচো খুরতে সাপ বেরিয়ে আসার গল্প।
সাংবাদিক পরিচয় গোপন রেখে কথা বললে, একপর্যায়ে সাংবাদিকদের চিনতে পারেন প্রতিবেশিরা। ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে না চাইলেও একপর্যায়ে পরিচয় গোপন রাখার কথা বলে কথা হয় প্রতিবেশিদের সাথে। তারা বলেন শাহানাজ আক্তার বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের ভয় ভিতি দেখিয়ে চলেন এলাকাবাসীকে। মানুষের জমি দখল করে বাড়ি করার অভিযোগ উঠে আসে অনুসন্ধানে।
বড় ভাই নূরনবীর আগে এডিসি থাকলেও এখন পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ে চাকরী করেন।তার হাত ধরেই চাকরী হয় শাহানাজের। ছোট ভাইয়েরও চাকরী হয় গুনাগলি ভুমি অফিসের সহকারী হিসেবে৷ ছোট বোনের চাকরী হয়েছে সরকারি প্রাঃবিদ্যালয়।
প্রতিবেশিরা বলছেন ১ পরিবারে ৬ জনের সরকারি চাকরী করে তারা। আর এলাকাবাসিকে দেখান ভয় ভিতি। তাদের বয়েছে বড় সন্ত্রাসী বাহিনীও। থানা পুলিশ কোট যেন তাদের হাতের মুঠোই এমনটাই বলছিলেন প্রতিবেশিরা। ভুমি অফিসের অফিস সহকারী হয়েও শাহানাজের রয়েছে কোটি টাকার সম্পদ।এলাকার বাসির প্রশ্ন অফিস সহকারী হয়েও এত টাকার মালিক এত সম্পতি কী ভাবে হল শাহানাজের। তাহলে কী শাহানাজের কাছে আলাউদ্দিনের চ্যারাগ আছে?
এই বিষয়ে সহকারী কমিশনার কর্ণফুলী ভূমি পিযুষ কুমার চৌধুরীর সাথে। এসময় তিনি বলেন আপনার যে অভিযোগ নিয়ে এসেছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আভিযোগের কথা শিকার করে বলেন এর আগের আমি দুইটি লিখিত ও একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ গুলো আমি আমার উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করেছি। এর আগে শাহানাজ আক্তারবের কয়েকবার বদলিও হয়েছেন অনিয়ম ও হয়রানির কারণে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩১ মার্চ-২৪ /মওম