সৈয়দপুরে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সংযুক্ত হলো আসন বিহীন দুটি কোচ

0
214

 মোস্তাকিম বিল্লাহ,নীলফামারী

নীলফামারীর জেলার সৈয়দপুর পৌরসভা দেশের প্রাচীন শহরগুলোর মধ্যে একটি ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য শহর।এই শহর অনেক আগে থেকে প্রসিদ্ধ হলেও অনেকের কাছে রেলের শহর হিসেবে বেশি পরিচিত। ১৮৭০ সালে ১১০ একর জমির ওপর নির্মিত হয় দেশের প্রাচীন এবং বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এ রেল কারখানার ২৬টি উপ-কারখানায় শ্রমিকরা কাজ করে থাকেন। এই রেলওয়ে কারখানা প্রতিষ্ঠার পর এখানে নতুন কোচ তৈরি হতো। কিন্তু ১৯৯৩ সালে রেল সংকোচন নীতির আওতায় কোচ নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন রেলের ছোট বড় যন্ত্রাংশ থেকে শুরু করে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ লাইনের বগি মেরামতসহ সব কাজ করা হয় এই সৈয়দপুর পৌরসভার কারখানায়। কারখানাটিতে স্বাভাবিক সময় প্রতিমাসে গড়ে ৩০টি কোচ মেরামত করা হয় বলে জানা গেছে।কিন্তু সারাদেশে ঈদের আগে ও পরের পাঁচদিন বিশেষ ট্রেন চলাচল এবং নিয়মিত ট্রেনেও অতিরিক্ত কোচ লাগানোর কারণে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় এবার ৫১ কর্মদিবসের মধ্যে ১১০টি যাত্রী কোচ মেরামতের সিদ্ধান্ত হয়। ঈদযাত্রায় ১৬টি বিশেষ ট্রেনে প্রতিদিন সর্বনিম্ন ২২ হাজার অতিরিক্ত মানুষ যাত্রা করতে পারবে। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমান আলোকিত প্রতিদিন কে বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আমরা ১১০টি কোচ মেরামতের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে মধ্যে সবকটি কোচ মেরামত শেষে রেলের ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের আন্তরিকতায় নষ্ট ও চলাচল অযোগ্য কোচগুলোকে সচল করা সম্ভব হয়েছে। ১১০টি কোচের মধ্যে আসনবিহীন যাত্রীদের জন্য দুটি কোচ বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। কোচের ভেতরে দুই পাশে ৮০ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। আর মাঝখানের প্রশস্ত জায়গায় ১৪১ জন আসনবিহীন যাত্রী দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন। দাঁড়ানো যাত্রীদের ধরার জন্য ওপরে হাতল এবং স্থানে স্থানে খুঁটি আছে। এই কোচ দুইটি পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটের ঈদের স্পেশাল ট্রেন হিসেবে যুক্ত হবে।

লোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here