মিন্টু চন্দ্র দাস, রায়পুর
বৈশাখের প্রথম প্রহরে গণেশ বন্দনায় মাতল লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানায় অবস্থিত মন্দির শ্রীশ্রী রাধা মদনমোহন জিউড় মন্দির প্রাঙ্গন। উক্ত বন্দনার আয়োজক শ্রীশ্রী রাধা মদনমোহন যুব সংঘ। এ বছর এ পূজা দ্বিতীয় বর্ষে পা রাখলো। সাধারণত, ভাদ্র মাসের শুক্লচতুর্থী তিথি সিদ্ধিদাতা গণেশ ঠাকুরের জন্মতিথি। তবে বৈশাখের প্রথম দিনে এখানে গণেশ বন্দনায় মেতে ওঠে মানুষ। ইতিহাস বলছে সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মের সময়ে মাতা দেবী দুর্গা সকলের সঙ্গে শনি দেবকে ও নিমন্ত্রণ করেছিলেন। তাঁর পুত্রের মুখ দেখে আশীর্বাদ করার জন্য। শনি দেব অনিচ্ছা প্রকাশ করেন, কারণ তিনি জানতেন তাঁর দৃষ্টিতে স্ত্রীর অভিশাপ আছে। স্ত্রীকে অবহেলার কারণে শনিদেবের স্ত্রী শনিদেবকে অভিশাপ দেন। শনিদেব যাঁর দিকে নজর দেবেন, তাঁর ভয়ঙ্কর ক্ষতি হবে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও শনিদেব গৌরীপুত্রকে দর্শন করেন। শনিদেব দর্শন করা মাত্র শিশু গণেশের মাথা ভস্মীভূত হয়ে যায়। এমন অবস্থায় ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় হস্তীমস্তক দ্বারা শ্রী গণেশের পূনর্জীবন দান করা হয়। দেবী দুর্গা ক্রুদ্ধ এবং চিন্তিত হয়ে পড়েন এরূপ দর্শনের কারণে শ্রী গণেশ কি দেবতা রূপে সকলের কাছে পূজিত হবেন। অবশেষে দেবতাগণের আশীর্বাদে শ্রীগজানন সিদ্ধি বা সাফল্য লাভের দেবতার স্থান পান। সে থেকেই তিনি হন সিদ্ধিদাতা। উল্লেখ্য, বাঙালির দুর্গোৎসবের মতোই একাধিক স্থানে গণেশ পুজো উৎসব হিসাবে পালন করা হয়,রাধা মোদনমোহন যুব সংঘের সভাপতি রাজিব বণিক ও শুভ কর্মকার বলেন, আমরা বৈশাখের প্রথম দিনে গণেশ পুজোর আয়োজনে এলাকার সকল ভক্ত বৃন্দ ব্যাপক আনন্দিত।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি