চৌদ্দগ্রামে সিএনজি চালক রাসেল হত্যা মামলায় ২ যুবকের মৃত্যুদণ্ড

0
201

লাভলু, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের শুভপুর এলাকায় সিএনজি চালক মো: রাসেল (১৮) কে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে কুমিল্লার আদালত। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এ রায় দেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জাহাঙ্গীর হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুজিবুর রহমান বাহার। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীরা হলেন; কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বঙ্গড্ডা ইউনিয়নের গান্দাছি গ্রামের আনা মিয়ার ছেলে মো. অলি উল্লাহ অলি (৩০) ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের শুভপুর গ্রামের সোলায়মান মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন (২৬)। নিহত সিএনজি চালক মো: রাসেল চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের শুভপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন এর ছেলে। মামলার বিবরণে জানা গেছে, দন্ডপ্রাপ্ত আসামী গিয়াস উদ্দিনের প্রেমিকার কাছে গিয়াস একজন মাদকসেবী এমন অভিযোগ করে সিএনজি চালক রাসেল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে গিয়াস উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে আসছে। ২০১৭ সালের ১৮ জুন দন্ডপ্রাপ্ত গিয়াস উদ্দিন ও অলি উল্লাহ মিলে রাসেলের সিএনজিটি ভাড়া করে। পরে দিনভর সিএনজিতে করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করার পর তারা তিনজনে মিলে কুমিল্লা এয়ারপোর্টের পাশে একটি ঝোপের মধ্যে মাদক সেবন করে। মাদক সেবনের পর রাসেল অচেতন হয়ে গেলে গিয়াস উদ্দিন ও অলি উল্লাহ মিলে রাসেলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এর আগে মোবাইলে বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপণের নামে নিহত রাসেলের পরিবার থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় রাসেলের বাবা জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুজিবুর রহমান বাহার বলেন, ‘মামলার অভিযোগপত্রে চারজন আসামী ছিলো। এদের মধ্যে একরামুল হক পাগলা নামে এক আসামী মারা যান। শাহিন নামে এক আসামী মামলা থেকে খালাস পান। অপর দুই আসামী মো. অলি উল্লাহ অলি ও গিয়াস উদ্দিনকে বিজ্ঞ আদালত মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন। মামলায় জামিন নিয়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী মো. অলি উল্লাহ অলি পলাতক রয়েছেন। মামলায় ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় প্রদান করেন। আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

আলোকিত/২১/০৪/২০২৪/আকাশ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here