নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ষড়যন্ত্রও রুখতে পারছে না বারবাকিয়া রেঞ্জের অভিযান।সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করে একের পর এক সফল অভিযান পরিচালনা করে ষড়যন্ত্রের দাঁত ভাঙা জবাব দেন রেঞ্জ অফিসার মোঃ হাবিবুল হক। জানা যায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন বারবাকিয়া রেঞ্জের পৃথক অভিযানে চিরাই কাঠসহ আকাশমনি বল্লী উদ্ধার করা হয়েছে। ২১ এপ্রিল ( রবিবার) ভোর ৬ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টইটং সীমান্ত ব্রীজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বাশখালী এলাকা হতে আসা তিনটি ট্রলি সহ আকাশমনি চিরাই কাঠ জব্দ করা হয়। এসময় প্রায় ১০০ ঘনফুট অবৈধ কাঠ উদ্ধার করা হয়। অভিযানে বারবাকিয়া ও টইটং বিটের স্টাফবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন। অপর অভিযানে, আজ দুপুর ২টার দিকে রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল হকের নির্দেশে হারবাং এলাকা থেকে আসা সালাউদ্দিন ব্রীজ নামক এলাকা থেকে আকাশমনি বল্লীসহ একটি কাঠ পরিবহনে নিয়োজিত ট্রলি জব্দ করা হয়। অভিযানে পাহাড়চান্দা বিট ও স্টাফবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। অভিযানের বিষয়গুলো নিশ্চিত করে বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল হক বলেন, প্রতি বছর মৌসুমের শুরুতেই যেমন গাছ,বালু,পাহাড় খেকোদের প্রবল ষড়যন্ত্র শুরু হয় আমার বিরুদ্ধে। বিপরীতে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে একের পর এক সফল অভিযান অব্যাহত রেখেছি। গাছ, বালু ও পাহাড়খেকো সিন্ডিকেট কোন মতেই আমাকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। বন,প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য আমার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে তিনটি ট্রলি সহ প্রায় ১০০ ঘনফুট অবৈধ কাঠ জব্দ করে রেঞ্জ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। অপর অভিযানে আকাশমনি বল্লী জব্দ করে হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে । সংশ্লিষ্ট জড়িতদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হবে । চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বন ও বনজ সম্পদ রক্ষায় বনবিভাগ সজাগ ও সতর্ক রয়েছেন। বনভূমি জবরদখল ও পাহাড়কর্তনকারী যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেন বন অপরাধ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বনবিভাগের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে বনবিভাগের নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়েছে ।অবৈধভাবে পাহাড়ি মাটি,বালি ও কাঠ পাচার রোধে বনবিভাগের নিয়মিত অভিযানও চলমান রয়েছে। সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে বনবিভাগকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি