একেএম ফারুক হোসেন
সারাদেশে বইছে তাপপ্রবাহ। আগামী আরো তিনদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধির আশংকা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।সতর্কতা আরো ৭২ ঘন্টা জারি করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।নোয়াখালী জেলার তাপমাত্রাও এর বাহিরে নয়।জেলার বিভিন্ন জায়গায় তীব্র গরমে ঠায় দাঁড়িয়ে ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। তবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে রাস্তায় যানবাহনের চাপ তেমন একটা দেখা না গেলেও দায়িত্ব অবিচল পুলিশ। জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশকে প্রচণ্ড গরমে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হাস ফাস ও পিপাসার্ত হয়ে পড়ছে।যেকোনো মূহুর্তে হীট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সমূহ সম্ভবনার কথা জানিয়ে সম্প্রতি স্বাস্হ্যমন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে প্রচারনা চলছে। এসকল ট্রাফিক পুলিশের জন্য পানীয় ও তরল খাবারের প্রয়োজন বলে অভিমত দেন জেলার (২৫০) শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আএমও ডাঃ মহিউদ্দিন আজিম।এছাড়াও নির্মাণ শ্রমিক,নিম্নবিত্তের শ্রমজীবী মানুষ যাদের প্রতিদিনই কর্মের উদ্দেশ্য রাস্তায় চলতে হয় এমন মানুষেরা দূর্ভোগে পড়ছেন।এ রিপোর্ট লেখার সময়ে আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম পিপিএম, নিজস্ব উদ্যেগে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের দূর্ভোগ লাগবে বিশুদ্ধ পানি,ফলের জুস,ও ওরস্যালাইন বিতরণ করেছেন বলে জানা যায়। বিতরণের সময় রাস্তায় চলাচলরত সাধারণ মানুষের মধ্যেও এসকল উপকরণ প্রদান করেন।এসময় তিনি জানান,যতদিন গরমের তীব্রতা অব্যাহত থাকবে ততদিন তার এ কার্যক্রম চলবে।এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন( প্রশাসন ও অর্থ) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইব্রাহিম,(ক্রাইম এ্যান্ড অপস্) ও সিরাজ উদ- দৌলা ট্রাফিক ইনচার্জ (এ্যাডমিন) প্রমুখ।সিরাজ উদ -দৌলা জানান,তীব্র গরমের মধ্যেও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।গরমের কারণে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সমস্যাটি নিয়ে পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম পিপিএম বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করবেন বলে জানান।তারই অংশ হিসেবে আজ বিতরণ করা শুরু হলো।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি