মো ফয়েজ :
তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই রোববার থেকে স্কুল কলেজে শুরু হয়েছে ক্লাস। স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম থাকলেও-গরমে কেউ যেন অসুস্থ না হয়ে পড়ে তাই শিক্ষার্থীদের জন্য চালু করা হয়েছে পানির ঘন্টাধ্বণি। সকাল থেকে স্কুল কলেজে ক্লাশ শুরু হওয়ার পর প্রতিবার ক্লাশ শেষ হওয়ার পরপর কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন। পানির ঘণ্টা ধ্বনিতে যেন শিক্ষার্থীরা যত পানি পান করে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণকে নির্দেশনা দিয়েছেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুফিকুর রহমান। প্রচন্ড গরমে
তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের পানিশূণ্যতারোধে কুমিল্লার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় চালু করা হয়েছে পানির ঘন্টাধ্বনি। আবহাওয়ার বৈরীতায় যতদিন এই প্রচণ্ড গরম থাকবে ততদিন প্রতিটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের বিশুদ্ধ পানি পান করানোর প্রতি ঘন্টার এই কার্যক্রম চালু থাকবে। আবহাওয়ার বৈরিতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে এই কার্যক্রম। ওয়াই ডাব্লিউ সি স্কুল, পুলিশ লাইন স্কুল, পলিটেকনিকেল স্কুল, কুমিল্লা জিলা স্কুল, ইবনে তাইমিয়া স্কুল, সহ নগরীর সকল স্কুলে গিয়ে দেখা যায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য পানি পানের ঘন্টা দেওয়া হয় এবং পানি পান করতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা হয় কুমিল্লা নবাব ফয়জুনেচ্ছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা আক্তার জানান, সকাল থেকেই ক্লাশ শুরু হয়েছে। প্রতি ৪৫ মিনিট পরপর আমাদের ক্লাশ শেষ হয়। তারপর পানিঘন্টা দেয়া হয়। সে সময় শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করে। পানি পান করার আগে ঘন্টা পেটানো হয়। এটা পানিপানের ঘন্টা।
কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফাহমিদা মুস্তাফা জানান, কুমিল্লা নগরীর স্কুলগুলোতে খোঁজ নিয়েছি সকাল থেকে স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী পানি পানে বেশ উৎসাহি। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু মুশফিকুর রহমান জানান, তীব্র তাপপ্রবাহের কারনে শিক্ষার্থীরা যেন অসুস্থ হয়ে না পড়ে সে জন্য নির্দিষ্ট সময় পর পর পানি পানের জন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছি? সকাল থেকে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খবর নিয়েছি। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিবার ক্লাশ শেষে পানি পান করছে। এতে শিক্ষার্থীরা ফুরফুরে আছে।
আলোকিত প্রতিদিন /২৯ এপ্রিল-২৪ /মওম