হাসান ফখরুল:
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় রাতের বেলায় কিছুটা কুয়াশা দেখা গেলেও সকাল হতে না হতেই তুখোড় ভাবে বাড়ছে তাপপ্রবাহ। এতে জনজীবন- বিশেষ করে, বিভিন্ন খেটে খাওয়া কৃষক, দিনমজুর, রিক্সাওয়ালা, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য খুবই দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিন যতই যাচ্ছে ততই তাপমাত্রার রেকর্ড বেড়েই চলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশজুড়ে চলছে প্রচন্ড তাপপ্রবাহ। এই গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এমন আবহাওয়ায় বেড়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও। ফুলবাড়িয়া উপজেলার পাটুলি গ্রামের সুলতান মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলে, আমার জীবনেও এতো গরম দেখি নাই। কোন কাজ করে শান্তি নাই। ক্ষেতের ধান পাকা শুরু করেছে, কিভাবে যে ধান কাটবো, বুঝতেই পারছি না। রাতেও ঘুমিয়ে শান্তি নাই, সারারাতে ২/৩ ঘন্টাও কারেন্ট থাকে না। টিনের চালের যে গরম এই গরমে ঘুমাই কিভাবে? খেয়ে দেয়েও শান্তি নাই, কোন খাবারে স্বাদ নাই। সমানে মানুষ অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা বাচমু কি করে। আল্লাহর উপর ভরসা রাখছি, আল্লাহ যেন রহম করেন।অপর দিকে বৈলাজান গ্রামের ভেন চালক আমিরুল ইসলাম বলেন, যে গরম পড়ছে, ভেন নিয়া রাস্তায় বের হইতেই পারি না। মাথার উপর যেন আগুন পড়ে। তার কাছে যাত্রীর সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তা ঘাটে যাত্রী নাই। গরমে কেউ বাহিরেই বের হয় না। যাত্রী পামু কই ? কামাই রুজি কম, দিন খুব কষ্টে যাচ্ছে।
এদিকে ময়মনসিংহে ২৯ শে এপ্রিল (সোমবার) তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রির উপরে। এমন প্রচন্ড তাপদাহে হাসপাতাল গুলো তে ক্রমেই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। বেশির ভাগ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্ক মানুষ। জ্বর, ঠান্ডা, ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন রোগে ভুগছে শিশুরা।
আলোকিত প্রতিদিন /২৯ এপ্রিল-২৪ /মওম