মোঃ ফয়েজ :
শহর কিংবা গ্রামে পথ কিংবা প্রান্তরে ঘুরে দেখা যাচ্ছে প্রচন্ড তাপদাহের কারণে মানুষ প্রয়োজনীয় কাজে ঘর থেকে বের হতে চাচ্ছেনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি কম, রাস্তাঘাটে বিভিন্ন পেশার শ্রমিকের অভাব। কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় ঘুরে দেখা যাচ্ছে ধান কাটার জন্য শ্রমিক পাচ্ছে না কৃষকরা। প্রচন্ড খড়তাপের কারণে অনেক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে, নিম্ন আয়ের মানুষগুলি এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অসহায় জীবনযাপন কাটাচ্ছে, সরকারি প্রণোদনার কথা থাকলেও প্রয়োজন মতো পাচ্ছে না প্রণোদনা। বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় শিশু এবং বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি, জ্বর শ্বাসকষ্ট এমন কি হিট ষ্টোকের এর রোগীও চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। প্রচন্ড গরমের কারণে যেমনি বেড়েছে রোগীর সংখ্যা তেমনি চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসক। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে পর্যাপ্ত ওরস্যালাইন থাকলেও অনেক হাসপাতালে ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা দেখা যাচ্ছে না। সাধারণ রোগীদের দাবি হাসপাতাল ইমারজেন্সি রুমের সামনে ঠান্ডা পানির ফিল্টার থাকা দরকার। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খবর পাওয়া গেছে ছাত্র-ছাত্রী অসুস্থ হওয়ার, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক জনাব খন্দকার মুশফিকুর রহমান জানান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের পানি পানে উস্যাহিত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে বিদ্যুতের লোডশেডিং এর বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালক জানান ফসলি জমিতে মটর দিয়ে পানি সেচ, সব জায়গায় বিদ্যুতের অতিরিক্ত চাহিদা হওয়াতে এবং প্রয়োজনের চাইতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হওয়ার লোডশেডিং এর মাত্রা বেড়ে গেছে, আশা করা যাচ্ছে অতি শীঘ্রই লোডশেডিং এর চাপ কমে আসবে। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীরা বলেন ঘন্টায় ঘন্টায় বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করায় ক্রেতা যেমন কম তেমনি আমরাও বসে থাকতে অসহায়ত্ববোধ করি। পশ্চিম বুড়িচং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা মোছাম্মদ হনুফা আক্তার বলেন প্রচন্ড তাপদাহের কারণে বাংলাদেশে একজন শিক্ষিকা হিটস্ট্রোক করে মারা গেছে, ঘন্টায় ঘন্টায় বিদ্যুৎ লোডশেডিং হওয়ার কারণে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একটু পরে পরে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় রাতে ঘুমোতেও পারিনা।
আলোকিত প্রতিদিন /৩০ এপ্রিল-২৪ /মওম