সাবরিনা জাহান (বিশেষ প্রতিনিধি):
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন থানার নাওজোড় এলাকা থেকে অপহরণের একমাস পর আট মাসের শিশু আব্দুল্লাহ আল নোমানকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে শিশু অপহরণের ব্যাপারে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। একাধিক এলাকায় অভিযানে নামে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান উপকমিশনার আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান। শিশু অপহরণের ঘটনায় গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন – বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানার পাইকরতলী গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আবু সাঈদ ওরফে সুমন (৪০) ও তার স্ত্রী মোসা. আইরিন (৩৪)। পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, নাওজোড় এলাকায় ভুক্তভোগী শিশু আব্দুল্লাহ আল নোমানের (৮ মাস) মা মনিরা আক্তার রুমা ও অভিযুক্ত আইরিন স্থানীয় মোক্তার হোসেনের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতেন। গত ৩ এপ্রিল দুপুরে রুমা তার শিশু সন্তানকে গোসল শেষে রুমের ভেতর খাটে শুইয়ে রেখে জামা-কাপড় ধোয়ার জন্য বাথরুমে যান। সেখান থেকে রুমে ফিরে তার আট মাসের শিশু আব্দুল্লাহ আল নোমানকে খাটে দেখতে না পেয়ে আশেপাশের ভাড়াটিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে দেখতে পান তার পাশের রুমের ভাড়াটিয়া আইরিন তার রুমে নেই এবং তার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন করলে ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। উপকমিশনার আরও বলেন, শিশু অপহরণের ঘটনায় বাসন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর আসামি আইরিনের স্বামী আবু সাঈদ ওরফে সুমনের নিজ বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায় অভিযান পরিচালনা করে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় সুমনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। এক পর্যায়ে গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, মূল আসামি আইরিন ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ আল নোমানকে নিয়ে ময়মনসিংহ কোতয়ালী থানার বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তির কাজ করছে। পরে গতকাল বুধবার বিকেলে ময়মনসিংহ জেলার কোতয়ালী থানার বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। পরে ভোরে স্থানীয় চায়না মোড় এলাকা থেকে আইরিনকে গ্রেফতার এবং শিশু আব্দুল্লাহ আল নোমানকে উদ্ধার করা হয়।
আলোকিত/০২/০৫/২০২৪/আকাশ