গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ থাকায় বিপাকে সেবা গ্রহীতারা

0
184
গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ থাকায় বিপাকে সেবা গ্রহীতারা
গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ থাকায় বিপাকে সেবা গ্রহীতারা
রানা ইস্কান্দার রহমান:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস দীর্ঘ প্রায় ১১মাস ধরে বন্ধ থাকায় মাসে শতাধিক রোগী অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকার হারাচ্ছেন বিপুল পরিমান রাজস্ব। হাসপাতাল সুত্র জানায়, এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি সচল ও একটি অচল অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। ২০২৩ সালের ২২ জুলাই অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার মোঃ আব্দুস সালেক মিয়ার বদলী হয়। সে সময় থেকে আজবধি ড্রাইভার না থাকায় অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সেবা বন্ধ রয়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন সেবা গ্রহীতারা। বেসরকারি মালিকানা অ্যাম্বুলেন্স ও মাইক্রোবাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে রংপুর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী নিয়ে যেতে অধিক ভাড়া গুনতে হচ্ছে। তাদের দাবী, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে সুন্দরগঞ্জ থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাপাতালে যেতে ভাড়া দিতে হতো ১ হাজার ১’শ ২০ টাকা। অথচ বেসরকারি এবং মালিকানা অ্যাম্বুলেন্সে ভাড়া দিতে হচ্ছে ২ হতে ৩ হাজার টাকা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রোগী মোঃ ফরমান আলীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানকার ল্যাট্রিনগুলো ব্যবহার করা যায় না। পানীয় জলের অভাব, নলকুপগুলো নষ্ট, খাবারের মান একবারেই খারাপ। প্রায় সব ওষুধ বাহির হতে কিন্তে হয়। ২ দিন চিকিৎসার পর সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় অধিক ভাড়া দিয়ে মালিকানা অ্যাম্বুলেন্সে তার ভাইকে রংপুরে পাঠিয়েছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রোদোয়ানুর রহমান জানান, ড্রাইভার সংকটের কারনে দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস হতে এখানে অ্যাম্বুলেন্স সেবা সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। ড্রাইভারের জন্য বহুবার চাহিদা পাঠানো হয়েছে । দু’টি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। অপরটি ড্রাইভার না থাকায় বন্ধ রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সায়্যিদ মুাহাম্মদ আমরুল্লাহ জানান, তিনি ৩ মাস হল এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেছেন। তখন থেকে অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার এবং পদ অনুযায়ী অর্ধেকের বেশি মেডিকেল অফিসার না থাকায় চিকিৎসা সেবা মারাত্বকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিকল্প উপায়ে অ্যাম্বুলেন্সটি চালুর ব্যবস্থা করা হবে। গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডাক্তার কার্নিজ সাবিহা জানান, সারা দেশে অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার সংকট। এখানে সিভিল সার্জনের কিছু করার নেই। তারপরও বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংসদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার এর সাথে কথা বলে জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে তিনি জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশের মাধ্যমে মহান জাতীয় সংসদে কথা বলেছেন। তারপরও তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সাথে সরাসরি দেখা করে আশু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
আলোকিত প্রতিদিন /১০ মে-২০২৪ /মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here