আব্দুল ওয়াদুদ হাসান: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে এবার মাত্র দুইজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। তবে দুজনের মধ্যে একজনও পাশ করতে পারেনি এতে করে মাদ্রাসায় ফেলের হার শতভাগ। ১২ মে প্রকাশিত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল পর্যবেক্ষণ করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, এ বছর দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ব্রজনাথপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৮ জন পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছিল । কিন্তু এর মধ্যে মাত্র দুইজন পরীক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষা অংশগ্রহণ করেছিল কিন্তু দুইজনই ফেল করেছে। উক্ত মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার এজাজুল হক বলেন , করোনার পর থেকে আমাদের মাদ্রাসার অবস্থা খারাপ। মাদ্রাসাটি এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষকেরা বেতন পান না। বেতন না পাওয়ার কারণে তাদের মনোবল ভেঙ্গে গেছে। তিনি আরো বলেন , মাদ্রাসাটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভালো ফলাফল করে আসছিল কিন্তু হঠাৎ করে কিছু জটিলতার কারণে মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে যায়। পরে আমি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে ২০২২ সালে আবারও মাদ্রাসাটি চালু করি এখন মাদ্রাসায় মোট ১০০ জন শিক্ষার্থী আছে। গোমস্তাপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুসাহাক আলী বলেন, আমি যোগদান করেছি গত মাসে। আমার যোগদানের আগে এখানে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেহেতু সেখানে ছাত্র সংখ্যা কম তাই অনুমান করাই যায় সেখানে ভালো পাঠদান হয় না। আমি পরবর্তীতে বিষয়টি খতিয়ে দেখব। জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুর রশিদ বলেন, আমি এর আগে এই প্রতিষ্ঠানের নাম শুনিনি। এছাড়া এই মাদ্রাসাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার এখতিয়ার আমাদের নেই। মাদ্রাসার শিক্ষকদের কোন ট্রেনিং প্রয়োজন হলে আমরা সমন্বয় করে তাদেরকে সেই ব্যবস্থা করে দিই।
আলোকিত/১২/০৫/২০২৪/আকাশ
