নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাচনে ৯ কেন্দ্রের ভোট পূনরায় গণনার দাবিতে  আঃলীগের সংবাদ সম্মেলন

0
210
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাচনে ৯ কেন্দ্রের ভোট পূনরায় গণনার দাবিতে  আঃলীগের সংবাদ সম্মেলন
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাচনে ৯ কেন্দ্রের ভোট পূনরায় গণনার দাবিতে  আঃলীগের সংবাদ সম্মেলন
একেএম ফারুক হোসেন:
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে সুবর্ণচর উপজেলার নির্বাচনের ৯টি কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল চেয়ে আজ ১২ মে রবিবার সকালে নোয়াখালী জেলা আঃলীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন জেলা আঃলীগের সভাপতি ও নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আঃলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র সহিদুল্যা খান সোহেল,নোয়াখালী পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, নোয়াখালী জেলা আঃলীগের সাবেক কমিটির সদস্য ও এটিএন বাংলার নোয়াখালী প্রতিনিধি ফুয়াদ হোসেন,সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও চরজব্বার ইউপির চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট ওমর ফারুক চৌধুরী, মোহাম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী ও নির্বাচন পরবর্তী হামলার শিকার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মী প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম অভিযোগ করে বলেন,৮ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ৯টি ভোট কেন্দ্রে ব্যপক অনিয়ম কারচুপি ও জাল ভোটের মাধ্যমে বিলম্বে ফলাফল ঘোষণা করে তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।নির্বাচন  সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে একতরফা ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে তার দোয়াত কলম মার্কার ৪ টি কেন্দ্রে ১৯১৪টি ভোট বাতিল করে, যাহা সম্পূর্ণ অবৈধ বলে তিনি দাবি করেন। তিনি নির্বাচনের এ ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করে ঐ ৪ কেন্দ্রে পূণরায় ভোট গণনার অথবা পূণরায় নির্রবাচনের জোর দাবী জানান।এসময় তার এ দাবীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু বলেন,আপনারা সাংবাদিকরা দেখেছেন  একটি পক্ষ কিভাবে পেশি শক্তি ব্যবহার করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে।নির্বাচন পরবর্তীতে বিজিত  দলের উশৃংখল লাঠিয়ালরা আমাদের নেতাকর্মীদের উপর ও তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে। তাদের তাণ্ডব দেখে মনে পড়ে যায় ২০০১ সালের বিএনপি- জামাত জোটের সেই ভয়াবহ তাণ্ডবের কথা।তাঁদের অপরাধ কি? তারাও তো আঃলীগের নেতাকর্মী। তাদের উপর এমন বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টিতে এনে এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।জেলা আঃলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র সহিদুল্যা খান সোহেল বলেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে নোয়াখালী জেলা আঃলীগের বাতিঘর আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক  অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমকে অত্যন্ত সুকৌশলে ৭০৩ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়েছে।আমরা এ ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করছি।সেই সাথে পূনরায় নির্বাচনের দাবি করি।নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যর্থতার সুযোগে আমাদের অনেককে মেরে চিরতরে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।নির্বাচন পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলার ভিডিয়ো ফুটেজ আমরা সংগ্রহ করেছি বলে জানান। এরপর সাংবাদিকদের প্রজেক্টরের মাধ্যমে সেইসব ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ দেখানো হয়।এরপর সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা উপস্হিত সাংবাদিকদের সামনে তাদের উপর হামলার বিবরণ তুলে ধরেন।হামলার ঘটনা বর্ণনা দিতে গিয়ে একজন আহত অঝোরে  কেঁদেই ফেলেন।
আলোকিত প্রতিদিন /১২ মে-২০২৪ /মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here