আবু সায়েম:
সুপেয় ও নিরাপদ পানি সরবরাহ করার লক্ষ্যে মডার্ন ভেন্ডিং মেশিনের মাধ্যমে রোগী এবং স্বজনদের জন্য সুপেয় পানির প্ল্যান্ট উদ্বোধন করা হয়েছে। এ প্ল্যান্টের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের বহি:বিভাগ ও আন্ত:বিভাগে হাত বাড়ালেই বিনামূল্যে বিশুদ্ধ খাবার পানি পাবেন সাড়ে ৫ হাজার রোগী-রোগীর স্বজন ও ৭৫৯ জন স্টাফ। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের আর্থিক সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে)। ১২ ই মে রবিবার সকালে প্রকল্পটি শুভ উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান ডাঃ মোহাম্মাদ মহিউদ্দীন।
জেলা সদর হাসপাতালের সুপার ডাঃ মং টিং নিঞো এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী সভায় কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডাঃ আসিফ আহমেদ হাওলাদার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের কো-অর্ডিনেশন ফোকাল পারসন ডাঃ সুকন্যা প্রীতি এবং ইউনিসেফ কক্সবাজারের ওয়াশ ম্যানেজার মুসা ড্রামি, ইউনিসেফ কক্সবাজারের হেলথ স্পেশালিস্ট ইসতিয়াক আহমেদ, জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জিহাদুল ইসলাম রিয়াজ ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিপন চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা রুবাইয়্যা আফরোজ, ইউনিসেফ কক্সবাজারের ওয়াস স্পেশালিস্ট জাহিদ মামুন এবং ওয়াস অফিসার শাজেদা বেগম, ওয়াশ অফিসার মোহাম্মদ আলী, ডিএসকে’র পরিচালক এস.এম তারিক বিন জামিল নেওয়াজ এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপক শরীফ উল্লাহ ভূইয়াসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত: প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরী হওয়া এই প্ল্যান্ট থেকে প্রতিদিন ২৪ হাজার লিটার পানি সরবরাহ করা যাবে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের সুপার ডাঃ মং টিং নিঞো বলেন, হাসাপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রায় ৪৩ টি স্পটে রোগী ও রোগীর স্বজনরা এবং কর্তব্যরত স্টাফরা সুপেয় এই নিরাপদ পানি পান করতে পারবেন। এ ধরনের উদ্যোগ সত্যিকার অর্থে প্রশংসার দাবিদার। ইউনিসেফের আর্থিক সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে)।সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ এমন সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করার জন্য। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ৫৪টি পানির ট্যাপ, ৩টি ভেন্ডিং মেশিন ওয়াটার এটিএম ও ৩টি আর ও ফিল্টারের মাধ্যমে একটি বিশেষ কার্ড পাঞ্চ করে পানির সুবিধা গ্রহণ করা যাবে। এতে করে হাসপাতালের স্টাফদের পাশাপাশি চিকিৎসা নিতে আসা রোগী এবং তাদের স্বজনরা সম্পুর্ণ বিনামূল্যে খাবার পানি পাবেন বলে জানিয়েছেন ইউনিসেফ কক্সবাজারের ওয়াশ ম্যানেজার মুসা ড্রামি।
আলোকিত প্রতিদিন /১৩ মে-২০২৪ /মওম