মোঃ নিশাদুল ইসলাম:
ঈদুল আজহাকে ঘিরে প্রতিবছর কুরবানির পশু বেচাকেনার মাধ্যমে বড় অংকের লেনদেন হয়। যার মাধ্যমে গতি আসে দেশের অর্থনীতিতে। এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ১৫শ কোটি টাকার পশু কেনাবেচার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আপাততো খামারগুলোতে চাহিদার সমপরিমাণ কুরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত থাকলেও শেষ মুহূর্তে চাহিদা আরও বেড়ে সংকট তৈরি হতে পারে। পাশাপাশি এবার পশুপালনে খরচ বাড়ায় হাটে পশুর দাম কিছুটা বাড়বে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন খামারিরা। তবে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় এবারও চোরাইপথে ভারত থেকে গরু আসার শঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা। এটি ঠেকানো না গেলে, বড় অংকের লোকসানও গুণতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা। যদিও প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু আসা বন্ধে কঠোর নজরদারি থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪ হাজারেরও বেশি খামারিরা কুরবানির পশু হৃষ্টপুষ্ট করেছেন। মূলত যাদের গোয়ালে অন্তত ৫টি গরু-মহিষ আছে তাদেরকেই খামারি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ঈদকে সামনে রেখে হাটে ভালো দাম পাওয়ার আশায় এখন পশুর বাড়তি যত্ন নেওয়া হচ্ছে। হৃষ্টপুষ্ট করে ভালো দাম পাওয়ার আশায় কুরবানির পশু পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সবকয়টি খামারির শ্রমিকেরা। কুরবানির পশুকে এখন থেকে দেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত খাবার।
আলোকিত প্রতিদিন /২৩ মে-২০২৪ /মওম